পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন হন্তে ফল প্রদান করিয়া প্রণাম করিতে লাগিলেন। রামচন্দ্ৰ হহুমানকে ' বলিলেন, “ঞ্জল দিয়া চিত নিৰ্ব্বাণ করিয়া ফেল ।” হকুমান তৎপ্রবণে জল আনিবার উদ্যোগ করিলে সীতা কহিলেন, “নাথ ! এই স্থানে যখন আমার অগ্নি পরীক্ষণ হইল, তখন এই স্থান লোককে জানাইবার জন্য ইচ্ছা করি । পাতাল হইতে জল উঠাইয়া অগ্নি নিৰ্ব্বাণ করা হউক এবং ঐ জল চিরদিন উত্তপ্ত থাকিয়া ফুটিতে থাকুক। যাত্রিগণ এখানে আসিয়া শ্ৰাদ্ধ তৰ্পণাদি করিলে তাহদের পিতৃপুরুষগণ যেন বৈকুণ্ঠে গিয়া আশ্রয় প্রাপ্ত হয় । ব্ৰহ্মা। তুমি আমাকে শ্রাদ্ধাদি করিবার উদযোগ ক’রে দাও, আমি সীতাকুণ্ডে পিতৃগণের উদ্দেশে পিণ্ড প্রদান করি । পাণ্ডারা এই কথা শ্রবণে মহাসন্তুষ্ট হইয়া একজন ছুটিয়া চাল কিনিতে গেল আর এক জন বলিল, “বুড়া বাবা, অর্ধেক গরম জল ও অৰ্দ্ধেক ঠাও জলে স্নান কর।” “এসো দেবরাজ ! আমরা স্নান ও জলযোগ করিরা বিশ্রাম করিতে থাকি । বড়দা, ততক্ষণ পিগুদান করুন” বলিয়া নারায়ণ শিশি হইতে তৈল বাহির করিয়া রাখিলেন এবং সকলের অগ্রে সীতাকুণ্ডে স্নান করিতে নামিলেন । তিনি একটা ডুব দিয়াই “ওয়াক্ ওয়াকু” শব্দে চীৎকার করিয়া কহিলেন, “দেবরাজ ! দেবরাজ ! এখানে স্নান ক’রো না-রাজশরীর, মারা যাবে। স্নান তোমার আজ তোলা থাক । বাবা রে, বিদকুটে দুর্গন্ধ । ও মা মারা যাই । কুণ্ডের ভিতর ব্যাঙই বা কত ” পিতামহ নারায়ণের মুখে সীতাকুণ্ডের নিন্দ শুনিয়া অত্যন্ত রাগাম্বিত হইয়া নারায়ণকে কহিলেন, “তুমি বড় বেশী বেশী আরম্ভ করলে। তুমি মহাতীর্থ সীতাকুণ্ডের নিন্দ ক’রে কি ভয়ঙ্কর পাপে লিপ্ত হ’চ্চো ভাব দেখি ? তোমার দোষ কি ? কলির বাতাস গায়ে লাগচে কি না ।” নারা। সীতাকুগু কিসে মহাতীৰ্থ আমাকে বুঝাইয়া দিন। রামচন্দ্রের আর কাজ ছিল না—তাই অযোধ্যায় প্রত্যাগমন সময়ে রাস্তার দু ধারে সীতাকে পোড়াতে পোড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন। হ্যা—শাস্ত্রাদিতে যদি ইহার প্রমাণ দেখাইতে পারেন, আমি ভক্তিস্তরে স্নান করিয়া সীতাকুণ্ডে পিও প্রদান করিতে প্রভাত আছি । - ব্ৰহ্মা। তবে জল এমন টগ বগ ক’রে ফুটুছে কেন ? নারা । উষ্ণ প্রশ্রবণ—তা ফুটবে না ? 38 ●