মুঙ্গের বরুণ । এখানকার কয়েকজন আৰ্য্যসস্তান দেখিলেন যে, আপনার আর্ধ্য ধৰ্ম্ম বা বৈদিক ধৰ্ম্ম ক্রমে ক্রমে লোপ হইতে চলিল । খৃষ্টান ও ব্রাহ্ম প্রভৃতি সম্প্রদায়ের দিন দিন যেরূপ উন্নতি, হয় ত কিছুদিন পরে আপনার ৰেদেরও নাম গন্ধ থাকিবে না। কারণ উহা ত বেজেষ্টারী করা হয় নাই। সকলেই বলিবে আমাদের স্ব স্ব প্রণীত । এই আশঙ্কায় উক্ত আৰ্য সস্তানের লোকের মনে সনাতন ধর্শ্বের উদ্রেক করিবার নিমিত্ত এবং লুপ্ত সংস্কৃত বিষ্ঠার পুনরুদ্ধার করিবার মানসে এই আর্যসভা এবং ইহার সংলগ্ন একটি সংস্কৃত পাঠশালা সংস্থাপিত করেন । ইহাদের সাধু ইচ্ছায় সন্তুষ্ট হইয়া মুঙ্গেরের কোন জমাদার এই বাড়ীটি সভার উদ্দেশ্যে দান করিয়াছেন । আৰ্য্যসভার সভ্যগণের এমন ইচ্ছা আছে, কয়েকজন প্রচারক দেশ বিদেশে পরিভ্রমণ করিয়া ধৰ্ম্ম প্রচার দ্বারা লোকের মনে আর্য্যধর্মের উদ্দীপনা করিবেন। ইহাদের এই সাধু প্রস্তাবে সন্তুষ্ট হইয়া জমীদার রায় অন্নদাপ্রসাদ রায় বাহাদুর এক সময় চার সহস্র টাকা দান স্বীকার করেন এবং আরো কিছু সাহায্য করিবেন বলেন । ক্রমে অসংখ্য শ্রোতৃবর্গ আসিয়া উপস্থিত হইল এবং যথাসময়ে তান-মানলয় বিশুদ্ধ কয়েকটি ধৰ্ম্মসংগীত গান করা হইলে এক যুবা দাড়াইয়া বক্তৃত। আরস্ত করিলেন ঃ– “বন্ধুগণ ! ধৰ্ম্মই জগতের একমাত্র সহায়। ধর্মের দ্বারাই অধৰ্ম্ম ও পাপের ধ্বংস হইয়া থাকে, ইহা শ্রুতিতে উক্ত আছে। মচুন্যমাত্রেই ঈশ্বরকে জানিতে চাহে, ঈশ্বরকে দেখিতে চাহে এবং এই জন্যই সকলেই সাম্প্রদায়িক রীতাম্বুসারে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিয়া থাকে। যদি খৃষ্টানকে জিজ্ঞাসা করা যায়, কি প্রকারে ঈশ্বরের দর্শন পাওয়া যায় ? তিনি কহিবেন, “খুষ্টকে বিশ্বাস কর, তাহার দর্শন পাইবে।” যদি মুসলমানকে জিজ্ঞাসা করা যায় তিনি বলিবেন, “মহম্মদোক্ত উপাসনা-পদ্ধতি অবলম্বন কর, তাহাকে প্রাপ্ত হইবে।” ইত্যাদি ( সকলের করতালি ) । আমি হিন্দু—আমার কি উপায় অবলম্বন করিলে ঈশ্বরকে প্রাপ্ত হওয়া যায় এই মাত্র প্রধান উদ্দেশ্য। অধুনা অনেকে—(ব্রহ্মার করতালি ) । নারা । পিতামহ । বেতাল হ’ল ! ব্ৰহ্মা। তুমি থাম। ফল হাতে ক’রে বসা হয় নি মনে আছে ? বক্ত। অধুনা অনেকে স্ব স্ব রুচি অনুসারে কার্য্য করিয়া থাকেন, তজস্তই বর্তমান সময়ে ধর্থবিপ্লব খটিয়াছে। অামার মতে তোমার আমার রুচি পরিত্যাগ SRడి.
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।