পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঙ্গের কেহ বলেন—মূলশান্ত্রে একমাত্র ব্রহ্মেরই উপাসনা উক্ত আছে, তবে প্রতিমা পূজা করিবার আবশ্বকতা কি ? তদুত্তরে আমি বলি, প্রতিমা পূজার কালে ধ্যান করিতে হয়। সেই ধ্যানমন্ত্রের দ্বারা ঈশ্বরকে মনোমধ্যে ধারণ করিবার ক্ষমতা জন্মে ! অতএব হে জীব। জীবন যদি সফল করিতে চাহ, সাধক মণ্ডলীর সঙ্গ লও, তাহীদের উপদেশ গ্রহণ কর, আর সময় নষ্ট করিও না } ধৰ্ম্ম সাক্ষাৎ ঈশ্বরস্বরূপ । ব্ৰহ্মা। খুব বলেছ বাবা ! বক্তৃতা শেষ হইলে পুনরায় কয়েকট ধৰ্ম্মসংগীত হইয়া সভাভঙ্গ হইল । তখন সভ্যগণ একে একে প্রস্থান করিতে লাগিলেন দেখিয়া দেবগণও বাসায় আসিলেন। ব্ৰহ্মা কহিলেন, “আমি মুঙ্গের আর্যসভা দেখিয়া পরম পরিতুষ্ট হইয়াছি। যদি ইহাদের দৃষ্টাস্ত অনুসারে প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে ও নগরে নগরে এইরূপ একটি ধৰ্ম্মসভা প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং তৎসহ এক একটি সংস্কৃত চতুষ্পাঠী থাকে, তাহা হইলে দেখিবে সত্বরেই লুপ্ত সংস্কৃত বিস্তার পুনরুদ্ধার হইয়। আবার সত্যযুগ আরম্ভ হইবে । বরুণ ! কলিকাতায় চল। আর এখানে অনর্থক কাল বিলম্বের আবশ্বকতা নাই।” পর দিবস দেবগণ স্টেশনে আলিয়া ভাগলপুরের টিকিট লইয়া ট্রেনে উঠিলেন। ট্রেন "ছ,ছ পাইয়া ছ, ছ পাইয়া” শব্দে জামালপুরের অভিমুখে ছুটিতে লাগিল ৷ ব্ৰহ্মা কহিলেন, "বরুণ ! মুঙ্গেরের অপরাপর বিষয় সংক্ষেপে বল ।” বরুণ। মুঙ্গেরে একটি বঙ্গ বিদ্যালয়, একটি দাতব্য সভা, একটি সাধারণ পুস্তকালয় আছে। রামপ্রসাদ নামক একজন জমিদার ভাগীরথীতীরে ইষ্টকনির্মিত যে একটি ঘাট বাধাইয়া দিয়াছেন, সে ঘাটটও দেখিবার উপযুক্ত। এখানে হিন্দু মুসলমান উভয় জাতির পরম্পর বিলক্ষণ সম্ভাব দেখা যায়। ইহার একাসনে বসিয়া পান ও তামাক খাইয়া থাকে। মুসলমানেরা হিন্দুর পর্বে এবং হিন্দুরাও মুসলমানদিগের পর্কোপলক্ষে হোগ দিয়া থাকে। ব্ৰাহ্মণ ও রাজপুত ভিন্ন এখানে অপর বর্ণে বিধবাবিবাহ প্রচলিত আছে। মুঙ্গেরের মুটকি ধি বড় বিখ্যাত। এক সময় এখানে দশ টাকা করিয়া স্বতের মণ বিক্রয় হইয়াছিল। এখানকার কৰ্শ্বকারের উৎকৃষ্ট বন্মুক প্রভত করিতে পারে। কিন্তু উপযুক্ত উৎসাহ ও শিক্ষার অভাবে দিন দিন মাটি হইয়া যাইতেছে। মূঙ্গেরের জলহাওয়া বড় বিখ্যাত। এজস্ব বর্ষে বর্ষে অনেক રાઉ ( -