পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন জমিদার ও ধনাঢ্য ব্যক্তি স্থান পরিবর্তনের জন্ত আসিয়া থাকেন। মূঙ্গেরের পাথর, পাখা ও ছেলেদের খেলনা বড় বিখ্যাত । এই সময় ট্রেন “ক্যা কোচ বানাং” শব্দে জামালপুর প্লাটফরমে আসিয়া থামিল। এক দেড়ে সাহেব আসিয়া গাড়ীর দ্বার খুলিয়া টিকিট দেখিয়া চলিয়া গেল। দেবগণ নামিয়া মেন লাইনে ট্রেনে উঠিতে চলিলেন । যাইবার সময় উপ কহিল, “ঠাকুর কাকা । সাহেবটার কি প্রকাও দাড়ী ! দাড়ী ধ’রে ঝুলে বেশ দোল খাওয়া যায়।” জামালপুরে ট্রেন অনেকক্ষণ পৰ্য্যস্ত থামিয়া থাকে। দেবতার গাড়ীতে উঠিয়া দেখেন—একটি বাৰু পরিবারের হাত ধরিয়া একখানি ইণ্টারমিডিয়েট গাড়ির দ্বারে আসিয়া স্ত্রীকে কহিলেন, “উঠ।” স্ত্রী । না, আমি কখন উঠবে না। তুমি আমাকে বরাবর বলেছ গদিওয়ালা গাড়ীতে নিয়ে যাবে, এ গাড়ীতে গদি কই ? বাবু। এ বৎসর হতে ভাই ! তোমার কপালে গদিওয়ালা গাড়ী ঘুচে গিয়েছে । অামার একাস্ত সাধ ছিল, তোমাকে গদিতে বসিয়ে নিয়ে যাব । ইন্দ্র। বরুণ। উহারা স্ত্রী পুরুষে বলে কি ? বরুণ। বাধুটি চল্লিশ টাকা বেতনের রেলওয়ে কেরাণী। রেলওয়ে কোম্পানীর নিয়ম ছিল চল্লিশ টাকা বেতনের কেরাণীরা সেকেণ্ড ক্লাসের পাশ পাইবেন । এজন্য বোধ হয় বাবু স্ত্রীর কাছে আস্ফালন করিয়াছিলেন "এবার আমার বেতন বৃদ্ধি হইয়া চল্লিশ টাকা হইয়াছে ; অতএব তোমাকে গদিপাত। গাড়ীতে তুলিয়া বাড়ী লইয়া যাইব ।” কিন্তু বাবুর ভাগ্যদোষে রেলওয়ে কোম্পানি সম্প্রতি নিয়ম করিয়াছেন, আশী টাকা বেতনের কেরাণীরা সেকেণ্ড ক্লাসে যাইবেন । তাহার নিম্ন বেতনের কেরাণীরা ইন্টারমিডিয়েট এবং চল্লিশের নিম্ন বেতনের কেরাণীরা থাণ্ড ক্লাসের পাশ পাইবেন । স্ত্রীলোকেরা ত এসব খবর রাখে না, কেবল "গদি কই" "গদি কই" বলিয়া আন্ধার করিতেছেন । ইন্দ্র । আহা ! মরে যাই । দেখ বরুণ ! রেলওয়েতে পেন্সন নাই, উপরি নাই ; মুখ কেবল পাশে যাওয়া । সে বিষয়ে কোম্পানি এত কড়াকড় নিয়ম ক'রে ভাল করেন নাই । বাবু। উঠ উঠ, গাড়ী চলে যাৰে । স্ত্রী । না আমি কখন যাব না, গদি কই আগে দেখাও । এদিকে ট্রেন ছাড়িবার উদ্যোগ করিলে অগত্যা তাহার, স্ত্রী পুরুষে উঠিয়া - R 8 Me