পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূঙ্গের বশিলেন । ট্রেন হুপান্থপ শব্দে ষ্টেশন অতিক্রম করিয়া স্থাৎ স্তাৎ শব্দে জামালপুর টনালের মধ্যে প্রবেশ করিল। হঠাৎ ট্রেন অন্ধকারের মধ্যে প্রবেশ করিলে পিতামহ বিপদাশঙ্কা করিয়। বরুণকে আঁকড়াইয়। ধরিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন এবং আসন্নকাল উপস্থিত ভাবিয়া দুর্গ নাম স্মরণ করিলেন । বরুণ “ভয় নাই” বলিয়। অশ্বস্ত করিতেছেন, এমন সময়ে ট্রেন সী স1 সোংশব্দে টনাল অতিক্রম করিয়া আবার স্থপ হপ শব্দে ছুটিতে লাগিল। সূর্য্যালোক দেখিয়া বৃদ্ধ পিতামহ দেহে প্রাণ পাইলেন। তখন তিনি হাসিতে হাসিতে কহিলেন, “বরুণ ! ব্যাপারখানা কি ? গৰ্ত্তোর মধ্যে গাড়ী নিয়ে গিয়েছিল কেন ?” বরুণ । আজ্ঞে –এই জামালপুর টনাল অর্থাং অর্ধমাইল আন্দাজ পৰ্ব্বত খনন করিয়া তন্মধ্য দিয়। রেলরাস্তা প্রস্তুত করিয়া গাড়ী চালাইতেছে । ব্ৰহ্মা। বল কি ? পৰ্ব্বত খনন করিয়া রেলরাস্তা প্রস্তুত ক’রেছে ? ইহাদের ত অসাধ্য কাজ নাই, ইহারা সব পারে । এদিকে ট্রেন বরিয়াপুর ষ্টেশন অতিক্রম করিয়া সুলতানগঞ্জে আসিয়া উপস্থিত হইলে ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ ! এ স্থানের নাম কি ?” বরুণ । এই স্থানের নাম সুলতানগঞ্জ । এই স্বলতানগল্পেই জঙ্গ, মুনির আশ্রম ছিল । ভগীরথের তপস্তায় ভাগীরথী সন্তুষ্ট হইয়া যখন পৃথিবীতে আগমন করেন, এই স্থানে উপস্থিত হইলে উহার জলস্রেতে মুনির কে শাকুশী ভাসিয়া যায়। ইহাতে মুনি ক্রোধান্ধ হইয়া গণ্ডুষে গঙ্গাকে পান করিয়াছিলেন । ভগীরথ অকস্মাৎ গঙ্গাকে অদৃপ্ত হইতে দেখিয়া মুনির চরণ ধারণ করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন । বালকের রোদনে মুনির মনে দয়ার সঞ্চার হওয়ায় গঙ্গাকে বমন করিয়া বাহির করিয়া দিলে পাছে তিনি অপবিত্র হন, এই আশঙ্কায় উরুদেশ চিরিয়া বাহির করিয়া ভগীরথকে প্রত্যপণ করিয়াছিলেন । ঐ জহ্ন - মুনির নাম হইতে ভাগীরথের অপর নাম জাহ্নবী হইয়াছে। ব্ৰহ্মা । এখানে আর কি আছে ? - বরুণ। গঙ্গার মধ্যস্থলে চরের উপর একটি মন্দিরে গৈরিকনাথ নামক এক শিব আছেন। শিবরাত্রির সময় এবং মাৰী পূর্ণিমার সময় বিস্তুর যাত্রী এই শিবের পূজা দিতে আসে। কথিত আছে—কোন সময়ে এক জীৰ্ণ ক্ষণ বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ বৈদ্যনাথের, মস্তকে জল দিতে যাইতেছিলেন। তাহার শরীরে এমন বল ছিল না যে, চলিতে পারেন ; সুতরাং অতি কষ্টে বসিয়া বসিয়া ኟፀግ .