পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগলপুর রেলওয়ে কমপাউণ্ড অতিক্রম করিয়া দেবগণের গাড়ী এক সংকীর্ণ স্বানে আসিয়া উপস্থিত হইল। স্থানটি এত সংকীর্ণ যে, স্বৰ্য্যালোকেরও প্রবেশপথ নাই । ব্ৰহ্ম কহিলেন, “বরুণ ! যমালয়ে যাইবার দক্ষিণ রাস্তার স্থায় এ কোথায় আনিলে ?” বরুণ । এ স্থলের নাম ভাগলপুরের মাড়োয়ারি পটী । এখানকার মাড়োয়ারির কলিকাতার বড়বাজারের মাড়োয়ারিদিগের ন্যায় অতি সংকীর্ণ স্থানে বাস করিয়া থাকে । - এই সময় ঢাকের বান্তে র্তাহাদের গাড়ীর ঘোড়া দুইট লাফাইতে লাগিল । কোচম্যান দ্রুতগতি গাড়ী হইতে নামিয়া চুমকুড়ি দিতে দিতে ঘোড়া জুটিকে ধরিয়া গাড়ীখানি রাস্তার এক পাশ্বে লইয়া যাইল। দেখিতে দেখিতে অনেকগুলি ঢাকী চাক বাজাইতে বাঞ্জাইতে চলিয়া গেল ও অশ্বারোহণে কতকগুলি বরযাত্রীও অগ্রসর হইলেন । তৎপরেই বীরবেশধারী পাত্র সশস্ত্রী আসিয়া দেখা দিলেন । তাহার হস্তে তরবারি, পৃষ্ঠে ঢাল, গাত্রে একটি চাপকান এবং মস্তকে পাগড়ী । তাহাকে বেষ্টন করিয়া অনেকগুলি স্ত্রীলোক করতালি দিতে দিতে গান করিয়া অগ্রসর করিয়া দিতে যাইতেছে । স্ত্রীলোকেরাও এই শুভকাৰ্য্য উপলক্ষে বেশভূষা করিয়া নানা রঙের ছোপান বস্ত্র পরিধান করিয়াছে এবং বিবাহ-আমোদে যেন তাহারা মাতোয়ারা হইয়াই হেলিয়া দুলিয়া উঠিয়া বসিয়া করতালির সহিত গান করিতেছে। নারা । পাত্রের ঢাল তরয়াল লইবার প্রয়োজন কি ? বরুণ । ভারতে স্বয়ংবর-প্রথা প্রচলিত ছিল । ঐ বিবাহে পাত্রী সভাস্থ যে পাত্রকে মনোনীত করিতেন, তাহারই গলে মাল্য প্রদান করিতেন । সময়ে সময়ে পাত্রী অকুলনে এবং বীর্ষ্যবিহীন রাজা বা রাজপুত্রের গলে মাল্য প্রদান করিলে অপরাপর রাজার পাত্রীকে বলপূর্বক হরণ করিবার চেষ্টা করিতেন । যেমন তোমার রুক্মিণী হরণ । সুতরাং বিবাদ বিসংবাদ কম ঘটিবার আশঙ্কায় পাত্ৰ সশস্ত্রে বিবাহ করিতে যাইতেন। এক্ষণে রাজপুতদিগের বলবীৰ্য্য নাই, কিন্তু বিবাহ সময়ে সশস্ত্রে যাওয়া পদ্ধতিটি আছে ; তজন্ত পাত্র ভোতা তরবারি ও ভাঙ্গ চাল পৃষ্ঠে ঝুলাইয়া যাইতেছেন। তজ্জন্তই অস্থাপি বঙ্গবাসীরা বিবাহ সময়ে মুতীক্ষু জাতি এবং রমনীগণ কাজল-লতা ব্যবহার করিয়া থাকেন। ૨8? দেব—১৬