পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্তে আগমন নারায়ণ হাসিয়া বলিলেন—“উপযুক্ত অন্ত্র বটে।” ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ স্থানের নাম ভাগলপুর হইল কেন ? বরুণ । এই স্থানে মহর্ষি ভার্গবের একটি আশ্রম থাকায় সময়ে সময়ে তিনি আসিয়া বাস করিতেন, ঐ ভার্গবের নামানুসারে বর্তমান ভাগলপুর নাম হুইয়াছে । এই সময় মাড়োয়ারি স্ত্রীলোকেরা করতালি দিতে দিতে পাত্রকে লইয়া অদৃপ্ত হইল। দেবসারথি আবার গাড়ী স্থাকাইয়া স্বজাগঞ্জ পরিত্যাগ করিয়া গঙ্গাতীরে একটি ভগ্ন দেবমন্দিরের নিকট উপস্থিত হইল। ব্ৰহ্মা। বরুণ এ স্থানের নাম কি ? এ মন্দির মধ্যে কি প্রতিমূর্তি আছে ? বরুণ। এ স্থানের নাম যোগসর। মন্দির মধ্যে বুড়ানাথ নামক এক শিব এবং জয়দুর্গ নামে এক দেবী মূর্তি আছেন । ইহারা বহুদিন হইল কোন জমিদারের যত্নে প্রতিষ্ঠিত হন । এক্ষণে সেই স্থাপনকর্তা না থাকায় এবং লোকের মনেও শ্রদ্ধাভক্তি না থাকায় মন্দিরটি ধ্বংস হইতে বসিয়াছে, অনেক স্থানও ভাঙ্গিয়া গিয়াছে ; বোধকরি দু একটা ভারি বাদলা হইলে বুড়ানাথ প্রাচীন বয়সে সন্ত্ৰীক মন্দির চাপা পড়িয়া অপঘাতে মারা যাইবেন । ব্ৰহ্মা । ইনি কি শুদ্ধ গঙ্গাজল খেয়ে বেঁচে আছেন ? বরুণ । আজ্ঞে না, যৎসামান্য ইহার দেবত্র বিষয় আছে, তদ্বারা মোট ভাত মোটা কাপড় সংস্থান হয় । ঐ বিষয়ে ইহার চার পাঁচ জন পুজারীও এক প্রকার প্রতিপালিত হইয়া থাকেন। পূজকের প্রতিদিন প্রাতে ও সায়াহে শঙ্খ ঘণ্টা বাজাইয়া ইহার পূজা করেন । এ নগরে এই দেবমন্দিরটি ভিন্ন অপর কোন দেবালয় নাই । ইন্দ্র । ভাগলপুরে এত ধনী লোক আছেন, চাদ দ্বারা কেন অর্থ সংগ্ৰহ করিয়া মন্দিরটি মেরামত করিয়া দেন না ? - বরুণ । এখানকার লোকের গুণের কথা বলিও না । এখানকার কেন— আজকাল ভারতের প্রত্যেক প্রদেশেরই প্রায় সকল লোকের মনে বিশ্বাস জন্ধিয়াছে, “দেবতা নাই। যদিই থাকেন, তাহীদের কথা কহিবার কিংবা অবমাননা করিলে প্রতিশোধ লইবার ক্ষমতা নাই । অতএব অনর্থক দেব সম্বন্ধে ব্যয় করা অপেক্ষ বারোয়ারি পূজা করিয়া রং তামাসা দেখিলে বরং সৎকাৰ্য্য করা হইবে। বলিতে কি এই ভাগলপুরে বর্ষে বর্ষে পাঁচ ছয় হাজার টাকা ব্যয় করিয়া বারোয়ারি পূজা করা হয়। পূজা উপলক্ষে বাদলা দেশ হইতে 《: 학