পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন পরিষ্কার করিতে আসিয়া বাড়ীর মেয়েদের কাছে গল্প করিতেছে—“কাল কর্তা যেতে না পারায় যাত্রা হয় নি ; এমন আশ্চর্ষ দেখিনি, এত লোক রয়েছে, তিনি না গেলে কি একদিন চালিয়ে নিতে পারে না ।” আমার বড় মেয়ে রাজেশ্বরী এই কথা শুনিয়া জিজ্ঞাসা করিল—“ষ্ঠা তিমুর বেী ! তিস্থ যাত্রায় কি সাজে ?” তিমুর স্ত্রী কিছুতেই বলে না, অনেক পীড়াপীড়ির পর কহিল, “বুঝতে পারলে না রঙ্গাদিদি । যা না হ’লে রামযাত্র হবার যে না ।” রাজেশ্বরী কহিল, “তিতু কি হনুমান সাজে ?” তিমুর স্ত্রী কহিল, “ওগো ই্যা ।” আজ আমার এদের কথা শুনে তিমুর স্ত্রীর কথা মনে পড়ে গেল । ইহার পর দেবগণ একটি দোকানে আহারের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন । পিতামহ মাছের ঝোলের একটু হলুদ চাহিয়া লইতে অগ্নিতে উত্তপ্ত করিয়া কোমরে হাত দিতে লাগিলেন । ইন্দ্ৰ কহিলেন, “ঠাকুরদা ! কোমরে হলুদ দিচ্ছেন কেন ?” ব্ৰহ্মা । ভাই ভাগলপুরের উচু নিচু রাস্তা চলে গিয়ে কোমরটা ভেঙ্গে গিয়েছে, এমন শহরে রাস্তার অবস্থা অমন কেন ? উপ। কর্তা জ্যেঠা ! দেখুন-রাস্তার ধূলোয় আমার শাদা রেফার রাঙ্গণ হয়ে গিয়েছে । আহারাস্তে দেবগণ পুনরায় নগর ভ্রমণে বহির্গত হইয়া সাহেবগঞ্জে আসিয়া দেখেন-অনেকগুলি লোক দুঃখ প্রকাশ করিতে করিতে আসিতেছে । তাহাদের মধ্যে কেহ গোরুর খোরাকের জন্য ঘাস কাটিয়া মাথায় করিয়া আলিতেছে। কেহ ভাগলপুর হইতে দূর দেশে যাইয়া খেস ও বাপ্ত বিক্রয় করিয়া প্রত্যাগমন করিতেছে। কাহারও বা মস্তকে ফুলকপীর তালা, কাহারও ঘাড়ে ত্রিশ সের ওজনের চাউলের বস্ত । ইন্দ্র। বরুণ ! উহার কারা ? বরুণ । দেশীয় খৃষ্টানের দাস । এই সাহেবগঞ্জেই দেশীয় খৃষ্টানের বাস করিয়া থাকে । ইহাঙ্গের দুরবস্থা প্রত্যক্ষ দেখিতেছ, অতএব কর্সি করা নিম্প্রয়োজন। এখানে উহাদের জন্ত একটি রোমান ক্যাথলিক চার্চ আছে । নারা । দুঃখ করতে করতে খৃষ্টানেরা প্রত্যাগমন করিল কেন ? বরুণ । তখন উহারা ভাবিয়াছিল, আলোর মুখ দেখে সুখী হইবে এক্ষণে আলোর পরিবর্তে অন্ধকার দেখিয়া বড় কষ্ট পাওয়াতে দুঃখ করিতেছে । উীতিকুলও-বৈষ্ণবকুলও গেল । ... • 决*