পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগলপুর ক্রমে সকলে যাইয়া কোম্পানীর বাগানের নিকট উপস্থিত হইয়া দেখিলেন —বাগানটি বহুদূর বিস্তৃত, কিন্তু তাদৃশ শোভাসৌন্দর্ঘ্য নাই। তাহারা উষ্ঠান ভ্রমণ করিতে করিতে একটি সুন্দর আটালিকা দেখিয়া একদৃষ্টে চাহিতে লাগিলেন । নারায়ণ কছিলেন, “বরুণ । সম্মুখে উচ্চ জমির উপর সুন্দর বাড়ীটি কাহার ?” .* বরুণ । এখানকার একজন কর্নেলের । তিনি অনেক অর্থ বায়ে এই বাড়ী নির্মাণ করেন । এমন সুন্দর স্থানে, এমন সুন্দর বাড়ী ভাগলপুরে জার দ্বিতীয় নাই । নিকটেই দেখ, একটি মধ্যম গোচর জৈনমন্দির। অদ্যাপি উহাতে কয়েকজন জৈন বাস করিয়া থাকেন । এখান হইতে দেবতারা একস্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন, স্থানটি বড় অপরিস্কৃত –কোন স্থান দিয়া ভাতের ফেনের শ্রোত বহিয়া যাইতেছে। কোন স্থানে তরকারীর খোলা-বাখলা কৃপাকার জমিয়া রহিয়াছে। ব্ৰহ্মা । বরুণ । এ স্থানের নাম কি ? বরুণ । এ স্থানের নাম সনস্বরগঞ্জ । ভাগলপুরে যে সমস্ত বাঙ্গালী বিষয়কর্মোপলক্ষে আসেন, তাহার এ স্থানে বাস করিয়া থাকেন। অনেকে ২/৩ পুরুষ এখানে বাস করিয়াছেন । এখানে প্রায় ১৫-২০ • ঘর আন্দাজ বাঙালী আছেন। তন্মধ্যে অধিকাংশই এখানকার একরূপ অধিবাসী হইয়া পড়িয়াছেন । ব্ৰহ্মা। এখানকার বাঙ্গালী ও কি কেরাণীগিরি কর্ম করেন ? বরুণ। অজ্ঞে স্থা ; তবে উকিলের তাগই বেশী। ইন্দ্র। উকিলের আবার বাবহার কিরূপ ? বরুণ । অধিকাংশ উকিলই প্রায় স্বেচ্ছাচারী। তবে তন্মধ্যে আবার কতকগুলি হিন্দুও আছেন। র্তাহারা ভক্তির সহিত বাড়ীতে দুর্গোৎসব ও জগদ্ধাত্রী প্রভৃতি প্রতিমূর্তি পূজা করিয়া থাকেন। এখান হইতে দেবতারা একদিকে যাইতেছেন, এমন সময় দেখেন—একটি পেটমোটা বাৰু ২৩টি মোসাহেব সমভিব্যাহারে নগর ভ্রমণে বাহির হইয়াছেন। বাবুটির পেট একটি ছোটখাট জাল বিশেষ। তাহার গলদেশে এক গোছা যজ্ঞোপবীত এবং স্বন্ধে একখানি কোচানো চাদর। পৈত পীরাণ দেন নাই। হাতে একখানি পিচের ছড়ি। বাৰু তখন কহিতেছেন, “সেজে খুড়ো যে অহঙ্কার করেন,-আমার চাইতে তিনি বড়-কিসে? বিষয় উভয়েরই