পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগলপুর ইন্দ্র । বরুণ ! এর কারা ? বরুণ। স্কুলের বালক । ইন্দ্র। মস্তকের মধ্যস্থলে স্ত্রীলোকের ন্যায় অমন সিখি কেন ? আর স্কুলের ছেলে—কচি ছেলে—লেখাপড়া শিখতে শিখতে চুরুট খাচ্ছে কি রকম ! বরুণ । আঞ্জে ওরা কি সব ছেলে ? ওরা দেশের কাটাগাছের চারা। এক একজন কথাবার্তা ইয়ারকি বদমাইসিতে যে আশীবছরের বুড়ে। এর পর দুঃখে শেয়াল কুকুর কাদবে। কোন ব্যাটা জেলে যাবে—কোন ব্যাটা ফাসি যাবে—কোন ব্যাটা দীপান্তর যাবে—কোন ব্যাটা অতি অল্প: বয়সেই যক্ষ্মা ধ’রে মর্বে—কোন ব্যাটা আত্মহত্যা করবে । নারা। বরুণ এরূপ মস্তকের মধ্যস্থলে চুল ফেরান ত আর কোন স্থানে দেখলাম না। স্থাগলপুরে যে নূতন দেখছি! বরুণ। নূতন নহে, বহুদিন হইল কলকাতায় প্রথম স্বষ্টি হ’য়ে ক্রমে এদিকে আমদানী হইয়াছে। শাড়ী পরিধান এবং মস্তকের মধ্যস্থলে লিখি কাটা হ’চ্চে বর্তমান ফ্যাসান । একরূপ বেশ অধিক দিন প্রচলিত থাকিলে যখন আর ভাল না লাগে, তখন সময়ে সময়ে বেশভূষার যে পরিবর্তন ঘটে তাহাকেই ফ্যাসান কহে । ব্ৰহ্মা না বরুণ ! তুমি যাহা বলিতেছ, তাহা ঠিক নহে । আমাকে এক সময় কলি জিজ্ঞাসা করে “পিতামহ । আজ্ঞা করুন অামার রাজ্যসময়ে লোকে কিরূপ চিহ্ন ধারণ করিবে ?” তদুত্তরে আমি বলিয়াছিলাম—“যখন পুরুষেও স্ত্রীলোকের বস্ত্র পরিধান করিবে ও তাহাদিগের ন্যায় মস্তকে লিখি কাটিবে এবং খাস্তাখাদ্য বিষয়ে কাহারও বিচার থাকিবে না, সেই সময় জানিও তোমার একাধিপত্য বিস্তার হইয়াছে। এই ভাগলপুরের স্কুলের বালকগণকে দেখিয়া আমার বেশ বোধ হইতেছে যে, এক্ষণে কলির সম্পূর্ণ অধিকাংকাল সমুপাস্থত । এই সময়ে একটি বালক উপর দিকে চাহিয়া অপর বালকের কানে কানো কি বলিয়া মূচকে হেসে চলিয়া যাইল। যাইবার সময় সে অপর একটি: বালককে কহিল, “দূর কর, ও শাদা জিনিসে জার প্রাণ ঠাণ্ড হয় না, লাল রং আমদানী করবার উদ্যোগ কর।” ইন্দ্র। বরুণ ! বালকেরা কি বলে ? સ્વ:સ્વ