পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্তে আগমন কিন্তু কপালক্রমে ঠিক ব্রাহ্মসমাজে যাইবার পথেই রক্ষাকালীপূজা হইতেছে ; পাছে দেখিতে হয় এই আশঙ্কায় চক্ষে কাপড় বেঁধে যাইতেছিলেন, উপ নষ্টামি ক'রে পথ বলিয়া দেওয়ায় নরদমার মধ্যে পড়িয়া গেলেন । ব্ৰহ্মা । উঃ ! কি গোড়ামি । এখান হইতে দেবগণ ২১ জন বাঙ্গালীর সুন্দর সুন্দর বাড়ীষর দেখিতে দেখিতে খঞ্চনপুরে বর্ধমানের মহারাজের বাড়ীর দ্বারের নিকটে গিয়া উপস্থিত হইলেন । উপস্থিত হইয়া ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বরুণ ! এ বাড়ীটি কাহাব ? এমন সুন্দর বাড়ীতে লোকজনের সমাগম নাই কি কারণে ? বরুণ । এ বাড়ীটা বৰ্দ্ধমানের মহারাজের । লোকের মনে বিশ্বাস আছে এই বাড়ীতে ভূত বাস করে। কোন ব্যক্তি ইহাতে বাস করিলে ভূতের হাতে প্রাণ হারায় (১) । পিতামহ হাস্ত করিয়া কহিলেন, “রজনী আগত প্রায়—আমরা আর কোথায় বাসার অনুসন্ধানে ফিরিব ? চল এই রাজবাটিতেই আশ্রয় লই ।” এই কথায় সকলে সন্মত হইলে দেবতারা সে রাত্রি সেই ভূতের বাড়ীতেই অবস্থান করিলেন । প্রাতে উঠিয়া সকলে গঙ্গাস্বানে চলিলেন। গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইয়া দেখেন—একটি সুন্দর অট্টালিকা বিরাজ করিতেছে । ইন্দ্র চাহিয়া চাহিয়া দেখিয়া কহিলেন, “বকুণ ! এ বাড়ীটি কাহার ?” বরুণ । জঙ্কেল নামক একজন নীলকর সাহেবের বাড়ী ৷ জঞ্জেল ভাগলপুরের মধ্যে একজন বিখ্যাত জমিদার। ব্ৰহ্মা | এই সময়ে জলে নামিয়া স্নান করিবার উদ্যোগ করিতেছিলেন, তাড়াতাড়ি তীরে উঠিয়া দ্রুতপদে পলাইতে লাগিলেন। দেবগণ পশ্চাৎ পশ্চাৎ ভুটিয়া গিয়া কহিলেন, “পিতামহ। পালাচ্চেন কেন ?" ব্ৰহ্মা। অামি ভাই, নীলকর সাহেবদের বড় ভয় করি । জানি কি, একে নীলকর—তাহাঙে আবার জমিদার ; ধরে নিয়ে গিয়ে যদি নীল বুনিয়ে নেয়। (১) কয়েক বৎসর পূর্বে বন্ধমানের মহারাজা মহাতাপচাদ বাহাদুর এই বাড়ীতে জাসিয়া প্রাণত্যাগ করায় লোকের মনে ঐ কুসংস্কার আরও বদ্ধমূল झझेभ्रां८छ् । -