পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন জেলখানার মধ্যে প্রায় এক শত বিঘা জমি আছে । জেলের মধ্যে অনেক কয়েদি খাটিতেছে এবং তাহদের দ্বারা কলে কম্বল প্রস্তুত হইতেছে। এই সময় দেবগণ দেখেন—দূরে অনেকগুলি লোক একত্র হইয়া গোলযোগ করিতেছে। তাহারা গোলযোগের কারণ অনুসন্ধানে যাইয়া দেখেন, একটি কুৎসিত যুবার সহিত একটি পরম স্বন্দরী স্ত্রলোক দাড়াইয়া আছে। যুবতীর সৰ্ব্বাঙ্গে স্বর্ণাভরণ, রং বস্ত্রমধা দিয়া ফুটিয়া বাহির হইতেছে। দেখিলে বোধহয় সুন্দরী কোন উচ্চবংশদ্ভুত । কারণ লোকের জনতায় লজ্জায় মুখ হেঁট করিয়া দাড়াইয়া আছে । পুলিশ ইনস্পেক্টর বারংবার জিজ্ঞাসা করিতেছে—“তুমি কে ? এই দুঃই বা কে ? ইহার চেহারাতে ইহাকে ত তোমার স্বামী বলিয়া বোধ হইতেছে ন। এ ভণ্ড কি তোমায় প্রাণ নষ্ট করিয়া ঐ গাত্রাভরণগুলি অপহরণ করিবার মানসে প্রতারণা করিয়া গৃহের বাহির করিয়া আনিয়াছে ? বল— সমস্ত বিষয় খুলিয়া বল, তদস্থপারে দুষ্টের দমন করি এবং তোমাকে তোমার স্বামীর গৃহে পাঠাইয়া দিই।” যুবতী তখন কহিতে লাগিল—“হুগলি জেলার কোন গ্রামে আমার শ্বশুরালয় । আমার স্বামী বেশ একজন সঙ্গতিশালী ও বিখ্যাত জমিদার । তিনি আমাকে বিবাহ করিয়া আনিয়া কখনও সুদৃষ্টিতে দেখেন নাই । কখনও মিষ্টি কথা বলেন নাই কিংবা অাদর যত্ন করে নাই। এমন কি দিনাস্তে একবার কাছেও আসিতেন না। বরং সময়ে সময়ে অকারণ তিরস্কার ও প্রহার করিতেন । আমি পূর্বজন্মের পাপে এরূপ ঘটিয়াছে ভাবিয়া মনকে প্রবোধ ভাম এবং দিন রাত কেঁদে কেঁদে দিন কাটাইতাম । এক সময় আমার অত্যন্ত পীড়া হইল-বাচিবার কোন আশা বহিল না। মনে মনে ভাবিলাম-আহ ! যমের কৃপায় এইবার আমি স্থখী হইব,—সকল জাল যন্ত্রণার হাত এড়াইব । কিন্তু যম এ হতভাগিনী, এ চিরন্থঃখিনীকে নিলেন না। আমি ক্রমে ক্রমে ভাল হয়ে উঠলাম। পথ্য ক'রে বসে আছি, এমন সময় দেখি একটি ক'নে বে গৃহের বাহিরে খেলা করিতেছে। বিকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ঝি, বোঁট, কে ?” কি কহিল, “মা ঠাকুরুণ ! উনি যে তোমার সতীন। যখন ডাক্তারের তোমায় দেখে বলেন, এ যাত্রা রক্ষা পাইবে না, তখন বাৰু হাসিতে হাসিতে বাট থেকে গিয়ে উহাকে বে ক’রে এনেছেন " এই কথায় মনে বড় দুঃখ হ’ল ভাবলাম আত্মহত্যা করি। আবার ভাবলাম—আত্মহত্যা মহাপাপ, যদি રહ્માજી