পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন পরম্পর গল্প আরম্ভ করিলেন। ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ ! ভাগলপুরের অপরাপর বিষয় সংক্ষেপে বল ।” বরুণ। ভাগলপুর অতি প্রাচীন সহর। নগরটি ভাগীরথীতীরে অনেকদূর পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। এখানে অনেকগুলি পল্লী ও বাজার আছে ; হিন্দু মুসলমান উভয় জাতিই এখানে বাস করে, তন্মধ্যে হিন্দুর ভাগই বেশী। সাধারণতঃ এখানকার লোকেরা অত্যন্ত অজ্ঞ বদমায়েস এবং কুসংস্কারপন্ন। একটি চলিত কথা আছে--"ভাগলপুরক ভাগলিয়া, কহাল গাওকা ঠগ ঔর পাটনাকে দেউলিয়া, তিন মুল্লুক জাদ ।” চম্পাইনগর ভাগলপুরের পশ্চিমাংশের শেষ সীমা । ঐ স্থানে চাদের প্রতিষ্ঠিত বহুকালের একটি শিবলিঙ্গ অাছে। কিন্তু তাহার পূজার কোন বন্দোবস্ত নাই। এখানকার কেল্লায় প্রায় ৯০০ শত আন্দাজ হিন্দু সিপাহী আছে* । এখানে অনেকগুলি বাঙ্গালী বিষয়-কৰ্ম্ম উপলক্ষে বাস করেন। তঁহাদের সাধারণ উন্নতিকার্য্যে কিছুমাত্র মনোযোগ নাই। সকলেই আপন আপন স্বার্থ লইয়া ব্যতিব্যস্ত । কিসে বড় হইব, স্ত্রীকে অলঙ্কারে ভূষিত করিব—অনেকের প্রধান সঙ্কল্প এই । নাচ তামাসায় অনেকে অনেক অর্থ ব্যয় করেন, কিন্তু দীনদুঃখী অনাথদিগকে এক মুষ্টি ভিক্ষা দিবার সময় জগন্নাথ হন। এখানকার দুই একটি উকিল সাহেবী ধরনে বেড়াইতে ভালোবাসেন । এই সময় টিকিট দিবার ঘণ্টা দেওয়ায় দেবতারা নলহাটির টিকিট লইয়া ট্রেনে উঠিলেন। ট্রেন “রূপান্থপ” শব্দে ঘোগা অতিক্রম করিয়া কাহালগ স্টেশনে আসিয়া উপস্থিত হইল । ইন্দ্র । বরুণ । এ ষ্টেশনটির নাম কি ? বরুণ । এস্থানের নাম কাহালগ। মহাবীর ভীমসেন ভীম-একাদশীর

  • কেল্লায় গত বৎসর পর্ষ্যস্ত ৯০ • শত হিন্দুস্থানী সিপাহী ছিল । কিন্তু

ব্ৰাহস্পর্শের দিন তাহার কাবুলে যাওয়ায় অস্থাপি আসে নাই। এক্ষণে এখানে আর সৈন্ত থাকে না। গবর্ণমেণ্ট ব্যয় সংক্ষেপ করিবার মানসে কেল্লাটি উঠাইয়া দিয়াছেন। এক্ষণে রিজার্ভ পুলিসের এক শত আন্দাজ সিপাহি বাস করিতেছে । ఫిe e.