পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মৰ্বে আগমন কহিতে লাগিল, “ঔর বহুত গাড়ি যাওঙ্গে । উস্ বকৎ কোইকে বাৎ নহি শুনকে একদম কাচকে গাড়িকে ভিতর ঘুম ঘাঙ্গে ।” এদিকে ট্রেন ছুটিতে ছুটিতে আসিয়া সাহেবগঞ্জে উপস্থিত হইল। অগ্নি একজন বড় চাপরাসী হাকিতে লাগিল—“সাহেবগঞ্জ”—“সাহেবগঞ্জ” । “এ পূর্ণিয়া, কাবাগোলা, দারজিলিং যানেওয়ালা, উতারো (* "সাহেবগঞ্জ” *সাহেবগঞ্জ” । ইন্দ্র ৷ বাঃ এ ষ্টেশনটি বড় স্বন্দর । এ স্থানের নাম কি ? বরুণ । এ স্থানের নাম সাহেবগঞ্জ । এখানে রেলওয়ে কোম্পানির ডিষ্ট্রিক্ট অফিস আছে। বিংশতি বৎসর পূৰ্ব্বে এ স্থান বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল । রেলওয়ে হওয়ার পর হইতে দিন দিন ইহার শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে। এখানকার রাস্তাঘাট বেশ পরিষ্কার ও প্রশস্ত। ষ্টেশনের বাহিরেই ইংরাজ মহল। ইংরাজ মহলে, রেলওয়ে গাডের বাস করিয়া থাকে । ইংরাজ মহলটি দেখিতে বড় সুন্দর । এই সাহেবগঞ্জের পাশ্বেই বিখ্যাত সিক্রিগলি । সিক্রিগলিতে হুমায়ুনের সহিত সেরসার একটি যুদ্ধ হইয়াছিলো। ঐ স্থানের কেল্লার ভগ্নাবশেষ অদ্যাপি দেখিতে পাওয়া যায়। সাহেবগঞ্জে অনেকগুলি বাঙ্গলী বাস করেন । র্তাহীদের স্বভাব সাধারণতঃ বড় মন্দ নহে। অনেক বাঙ্গালী বেখ্যাও এখানে আছে । অশুভক্ষণে চৌদ্ধ আইন জারি হওয়ায় কলিকাতার যত বেশু পালাইয়া আসিয়া চারিদিকে বিরাজ করিতেছে । সাহেবগঞ্জে অনেকগুলি মাড়োয়ারির বাস । তাহীদের উপাস্ত দেবতা কৃষ্ণজীর একটি মন্দির আছে। তদ্ভিন্ন মহাবীর হকুমানেরও দুই একটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। এখানে রেলওয়ে কোম্পানীর একটি হাসপাতাল ও একটি ডাক্তার আছেন। t ব্ৰহ্মা । বরুণ । সাহেবগঞ্জে ত অনেকক্ষণ গাড়ি থাকে । বরুণ। এস্থানে সাহেবের খান খেয়ে নেয়। সাহেবগঞ্জের পরপারে কারাগোলা। কারাগোল দিয়া পূর্ণিয়া ও দারজিলিং যাইতে হয়। সাহেবগঞ্জের ঘাটে ষ্টিমারে উঠিয়া দুই ঘণ্টায় কারাগোলায় পৌঁছান যায়। পরে তথা হইতে গরুর গাড়ির ডাকে পূর্ণিয়া ও দারজিলিং যাইতে হয়। এই সময় "ৎ" শব্দে একটা হেঁচক টান মারিয়া ট্রেন ‘স্থপাছপ” শৰে ছুটিতে ছুটিতে মহারাজপুর অতিক্রম করিয়া তিন পাহাড়ে জাসিয়া উপস্থিত হইল। জমি চীৎকার শকে এক ব্যক্তি হাকিতে লাগিল--"তিল পাহাড়" షిఆy