পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ভাগলপুর

  • তিন পাহাড়” । “এ রাজমহল যানেওয়াল উতারো” । “তিন পাহাড়", “রাজমহল’ ।

ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ স্টেশনের নাম কি? বরুণ। এ স্থানের নাম তিন পাহাড়। তিন পাহাড় হইতে ব্রাঞ্চ রেলে রাজমহল যাওয়া যায়। বাঙ্গালা দেশে মোগল রাজত্বের সময়ে রাজমহল অতি সমৃদ্ধিশালী নগর ছিল। আকবর বাদশাহের প্রধান সেনাপতি মানসিংহ এই নগর নির্মাণ করেন এবং মুজার সময় ইহার সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। এক সময় রাজমহল আয়তনে সৌন্দর্ঘ্যে দিল্লীর সমকক্ষ হইয়া উঠিয়াছিল ; মুসলমানের আকবর বাদশাহের সন্মানার্থ ঐ নগরকে আকবর নগর কহিত । এই রাজমহলেই ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দে বাঙ্গালার শেষ রাজা আকবরের সৈন্য কর্তৃক পরাভূত ও নিহত হন। রাজমহলের উত্তর পশ্চিমে, যে স্থলে রাজমহল পাহাড় গঙ্গার তীরস্থ হইয়াছে, ঐ স্থানে বেলিয়াগড়ি নামক প্রসিদ্ধ দুর্গ ছিল। এই দুর্গটিকে লোকে বাঙ্গালার দ্বারস্বরূপ জ্ঞান করিত। রাজমহলের পাহাড়ে পাহাড়িয়া নামক এক আদিম জাতি বাস করে । অস্থাপি রাজমহলে অনেক বাড়ী ও মসজিদের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। রেলের রাস্তা প্রস্তুত হইবার সময় অনেক পুরাতন গৃহাদি নষ্ট হইয়া গিয়াছে। নবাব সিরাজদ্দৌলা পলাশীর সংগ্রামে পরাজিত হইয়া পাটনায় পলায়নকালে এই স্থানে উপস্থিত হইলে এক ফকির তাহাকে ধৃত করিয়া দেয় । ইন্দ্র। রাজমহলে যাইলে হয় না ? বরুণ। রাজমহলে দেখিবার যোগ্য কিছুই নাই। ঐ স্থানে এসিষ্টান্ট কমিশনারের কাছারি, সামান্ত একটি হাসপাতাল ও জেল আছে। সিংহদালান নামে একটি পুরাতন দালানের কতকগুলি কাল পাথরের পিলার অন্যাপি বর্তমান আছে। উহার মধ্যে অসভ্য সাওতালের সাক্ষ্য দিতে আসিয়া বাস করিয়া থাকে। দালানটি পঞ্চাশ ষাট হাত দীর্ঘ ও দশ বার হাত প্রশস্ত হইবে। উহার ছাদ খিলানের উপর ছিল। রাজমহলের বাজারে অনেকগুলি খাস্তপ্রব্যের দোকান আছে। এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে অধিকাংশ মুসলমান, অত্যঙ্গমাত্র হিন্দু। নবাব-জেলারি নামক স্থানেরও অষ্ঠাপি ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। এখানে জুম মসজিদ নামে একটি কাল পাথরের মসজিদ আছে। ঐ মসজিদ পূৰ্ব্বে অনেক বহুমূল্য প্রস্তৱাদি দ্বার স্বসজিত ছিলো— এক্ষণে জার নাই। এক্ষণে মসজিদ মধ্যে গে অশ্ব প্রভৃতি পথাদি বাস করিয়।