পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরশিদাবাদ দেবগণ ট্রেন হইতে নামিয়া দেখেন—চমৎকার সহর । মালকেঁচা পর। মাড়োয়ারীরা লোটা হন্তে দাতন চিবাইতে চিবাইতে স্বানে বাহির হইয়াছে। নগরে নানাপ্রকার পণ্য প্রব্যের দোকান রহিয়াছে। র্তাহারা ব্যাগ হস্তে যাইতে যাইতে এক স্থানে উপস্থিত হইলে নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ! সম্মুখে এ বাড়ীটি কাহার ?” বরুণ। ধনপৎ সিং নামক এক ধনাঢ্য ব্যক্তির ; ইহার বিলক্ষণ ধনসম্পত্তি আছে এবং ইহার যত্বে আজিমগঞ্চে পরেশনাথের একটি দেবালয় আছে। তদ্ভিন্ন ধনপৎ সিং নিজব্যয়ে এখানে একটি বিদ্যালয় স্থাপিত করিয়াছেন । ঐ বিদ্যালয়ে গরীব ছাত্রদিগকে মাসিক পাঁচ টাকার হিসাবে বৃত্তি দিয়া বিদ্যা দান করা হইয়া থাকে। ইহার একান্ত ইচ্ছা কাপড়, তৈল, ময়দা প্রভৃতির কল চালাইয়া দেশে স্বাধীন ব্যবসা প্রচলিত করেন। এখান হইতে সকলে ভাগীরথীতীরে উপস্থিত হইয়া দেখেন—ভাগীরথী যেন নগরের শোভা সৌন্দর্ঘ্যে মুগ্ধ হইয়া নগরীকে দ্বিখণ্ডে বিভক্ত করিয়া কল কল শবো নৃত্য করিতে করিতে ছুটিতেছেন। দেবতার ঘাটে উপস্থিত হইবামাত্র অনেকগুলি বাঙ্গাল মাঝি নিকটে ছটিয়া আসিল এবং কহিল “আইসেন বাবু, আমার লায়ে আইসেন। ছয় আনা ভাড়া নিমু, বহরমপুরে চড়ায়ে লয়ে যাইমু ; কোন কষ্ট অইবে না।" নারা । বরুণ ৷ পরপারে দেখা যাইতেছে—ও স্থানের নাম কি ? বরুণ । উহার নাম জিয়াগঞ্জ । আজিমগঞ্জ ও জিয়াগঞ্জে কেঁয়েরাই বাস করিয়া থাকে। উহার সকলেই প্রায় সঙ্গতিশালী লোক এবং প্রত্যেকেরই গৃহে প্রায় একটি প্রস্তরের পরেশনাথ আছে। দেবগণ ঘাটে স্বান সারিয়া খেয়ায় পার হইয়া পরপারে ঘাইয়া দেখেন দোকানে নানাপ্রকার উত্তম উত্তম খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় হইতেছে। র্তাহার একটি দোকানে যাইয়া মনের সাধে এক পেট ছানাবড়া খাইয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। বরুণ কহিলেন, “এখানকার চেলির কাপড় বড় বিখ্যাত । চেলিতে হাতী, ঘোড়া, সেপাই প্রভৃতির প্রতিমূৰ্ত্তিগুলি সুন্দরন্ধপে থাকে। ঐ বালুচরের চেলি কুৎসিত স্ত্রীলোককেও পরাইলে সুন্দরী দেখায় ।” ९१३