পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরশিদাবাদ নারা । ৰকুণ ! আমাকে কতকগুলা চেলি কিনে দেও । মর্ত্যে তিন দিনের মিয়াঙ্গে আসিয়া যেরূপ কালবিলম্ব করিতেছি, আমার কপালে বিস্তর কষ্ট আছে। তবু চেলি টেলি দিয়াও যদি মন যোগাতে পারি। বরুণ এ কথায় সম্মত হইয়া নারায়ণকে কতকগুলি চেলি খরিদ করিয়া দিলেন। দেবরাজও মহিষীর জন্য ও পুত্রবধুর জন্য কয়েকখানি লইলেন। পিতামহও একখানি কিনিলেন । ইন্দ্র । ঠাকুরদা, ওখানি ঠানদিদিকে পরাবেন ? ব্ৰহ্মা। না ভাই ; ভাবছি—স্বরধুনী যে দিন স্বর্গে যাবেন, তাকে এই চেলিখনি পরিয়ে বরণ ক’রে ঘরে তুলবো । বস্ত্রাদি খরিদ হইলে সকলে একখানি গাড়ী ভাড়া করিয়া মুরশিদাবাদ অভিমুখে চলিলেন । যাইতে যাইতে ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বরুণ, সম্মুখে ও স্বন্দর বাড়ীটি কাহার ?” 稳 বরুণ। উহা লছমীপৎ সিং নামক এক ধনাঢ্য ব্যক্তির বাড়ী । নগরের মধ্যে ইহার দুই একটি দেবালয় ও বিদ্যালয় আছে। বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে দুঃখী বালকদিগকে বিদ্যা দান করা হইয়া থাকে। এখান হইতে কিছুদূরে যাইলে ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বরুণ, এমন সহর ত দেখি নাই ! ইহার বাজার, হাট, অট্টালিকাদি গণিয়া সংখ্যা করা যাইতেছে না । ভাল—সম্মুখে যে প্রকাও সেকেলে ধরনের বাড়ীটি দেখা যাচ্ছে এ বাটা কাহার ? এবং এ স্থানের নাম কি ?” বরুণ । এ স্থানের নাম মহিমাপুর । যে বাড়ীটা দেখিতেছ, উহা মুরশিদাবাদের শেঠেদের। এক সময় শেঠেরাই এদেশের মধ্যে প্রধান ধনী ছিল। এই বংশীয় জগৎশেঠ কথায় কথায় লক্ষ লক্ষ মূদ্র প্রদান করিতে পারিতেন । हेया। जश९** cरू ? বরুণ। ভারতের মধ্যে ইনিই সৰ্ব্বপ্রধান বণিক ছিলেন । নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে সিংহাসনচ্যুত করিবার যে ষড়যন্ত্র হয়, মহাত্মা জগৎশেঠই তাহার প্রধান উদ্যোগী। এই ষড়যন্ত্রের গুণে স্ববিস্তৃত ভারতসাম্রাজ্য ইংরাজহন্তে অৰ্পিত হইয়াছিল। পরিশেষে ইংরেজ-বন্ধু জগৎশেঠকে নবাব মিরকাশিম মুঙ্গেরের গঙ্গায় জলমগ্ন করিয়া হত্যা করেন। অষ্ঠাপি তাহার বংশাবলী এই বাড়ীতে বাস করিতেছেন । বিষয়-বিভব আর তাদৃশ নাই। ३१७