পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন নারা । আমাকে কিছু কিনে দেও। ব্ৰহ্মা। না, তোমাকে কিনে দিয়ে কি হবে ? তুমি কি ষত্ব ক’রে রাখতে জান ? এখান হ’তে নিয়ে গিয়ে হয় ত নলহাটিতে ফেলে দিয়ে যাবে। তার পর কলিকাতায় গিয়ে তোমার স্মরণ হবে। নারা । না, এবার বুকে ক’রে রাখবো । দেবগণ বাসনাদি খরিদ করিয়া যখন দোকান হইতে বাহির হইতেছেন, উপ একটি সাহেবকে রাস্ত দিয়া যাইতে দেখিয়া ছুটিয়া গিয়া “গুড, মৰ্ণিং সার, বলিয়া সেলাম করিল। সাহেবও “গুড মৰ্ণিং" বলিয়া তাহার সেলাম প্রত্যপণ করিলেন । পিতামহ দেখিয়া অবাকৃ ! মনে করিলেন—উপ বড় কম লোক নয়, উহার সাহেব সুবোর সহিত ইংরাজীতে কথাবাৰ্ত্ত কহিবার বেশ ক্ষমতা আছে । তিনি দেবরাজকে গা টিপিয়া দেখাইয়া কহিলেন,— “ইন্দ্র ! দেখ, উপ কেমন ইংরাজীতে কথা বলতে পারে ; এমন ছেলের চাকরী হ’চ্ছে না ।” নারা । বরুণ ! বাজারে এত মিষ্টাল্পের দোকান দেখা যাইতেছে, এখানকার খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ভাল কি ? বরুণ । খাগড়ার মুড়কী বড় বিখ্যাত । দেবগণ ভ্ৰমণ করিতে করিতে ক্লাস্ত হওয়ায় একটি ময়রার দোকানের নিকট উপবেশন করিলেন । এই সময় দোকানী নিজের চার পাঁচ বৎসরের একটি শিশু সস্তানকে দোকান রক্ষার ভার দিয়া বাটীর মধ্যে আহার করিতেছিল। একজন জুয়াচোর অবসর বুঝিয়া দোকানে প্রবেশ করিয়া টপ, টপ, করিয়া রসগোল্লা খাইতে আরম্ভ করিল। তখন বালক চীৎকার করিয়া কহিল, “বাবা, খাচ্চে ” পিত কহিল, ”কে” ? জুয়াচোর কছিল, "বল বোলতা ।” বালক কহিল, “বোলত ।” পিতা মনে মনে ভাবিল “বোলতায় আর কত খাইবে" ; অতএব কহিল “থাক, খাক ।* _. এদিকে জুয়াচোর রসগোলাগুলি খাইয় প্রস্থান করিলে দোকানী জাহার শেষ করিয়া জাসিয়া পুত্রকে কহিল,"রসগোল্লাগুলো কি হ’ল রে ?” পুত্র। বোলতায় খেয়ে গিয়েছে। - ቋour