পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরশিদাবাদ পিতা। বোলতায় কি এত রসগোল্লা খেতে পারে ? পুত্র। বোলত যে মানুষ । দোকানী বুঝিল-জুয়াচোরে জুয়াচুরী করিয়াছে। দেবগণও জুয়াচোরের উপস্থিত বুদ্ধি দেখিয়া আশ্চর্যাম্বিত হইলেন। এখান হইতে সকলে বহরমপুরের সৈন্যশালার নিকট উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “নারায়ণ । চেয়ে দেখ—সেপাইগণ মিলিটারি ড্রেসে সুসজ্জিত হইয়া প্যারেড শিক্ষা করিতেছে।” নারা । বরুণ ! বাঙালীদিগের মিলিটারী ড্রেস আছে ? বরুণ । আছে । নারা । সে ড্রেস তাহারা কখন পরিধান করে ? অার ড্রেসই বা কিরূপ ? বরুণ । বাজার হইতে বেলা দুই প্রহরের সময় ঘৰ্ম্মাক্ত কলেবরে প্রত্যাগমন করিয়া মাথায় গামছা বাধা, সম্মুখে তেলের বাটী, হাতে হকা-কন্ধে লইয়া যখন কোন কারণবশতঃ গৃহিণী কি বালক বালিকাগণ অথবা কৃষাণের উপর গালি বর্ষণ করিতে থাকেন, সেই প্রকৃত যুদ্ধের সময়, এবং সেই সাজই প্রকৃত মিলিটারি সাজ । ব্ৰহ্মা । বরুণ ! সংস্কৃত ভাষার প্রশংসা করিতে করিতে চলিয়া গেলেন, ও বাবুট কে ? উহার মুখে সংস্কৃত ভাষার প্রশংসা শুনিয়া আমার কিছু বিশ্বয় জন্মিয়াছে। . বরুণ। ইহার নাম রামদাস সেন । ইনি বহরমপুরের একজন জমিদার। ইনি সর্বক্ষণ সংস্কৃত শাস্ত্রের আলোচনা করিতেই ভালবাসেন। ঐ বিষয়েই অনুরক্ত আছেন, তজন্তই ইহার মুখে সংস্কৃত শাস্ত্রের প্রশংসা শুনিলেন। ব্ৰহ্মা। এই মহাপুরুষের বিষয় আমাকে সংক্ষেপে বল । বরুণ। ইনি দেওয়ান কৃষ্ণকান্ত সেন মহাশয়ের পৌত্র এবং লালমোহন সেন মহাশয়ের পুত্র। ১৭৬৭ শকে বহরমপুরে ইহার জন্ম হয়। ইনি এই স্থানের কলেজেই বিদ্যাভ্যাস করিয়াছিলেন। বাল্যকাল হইতেই ইনি সংবাদপত্রে পদ্য ও গদ্য প্রবন্ধাদি লিখিতে আরম্ভ করেন। ঐ সমস্ত প্রবন্ধ পরে পুস্তকাকারে প্রচারিত হয় । “বঙ্গদর্শন” নামক একখানি মাসিকপত্র প্রচার হইতে আরম্ভ হইলে ইনি সেই পত্রে ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিবৃত্ত, শিল্প, বিজ্ঞান ও ধর্শ্বঘটিত প্রবন্ধাদি লিখিতে আরম্ভ করেন । তৎপরে “ঐতিহাসিক রহস্ত" নাম দিয়া ঐ সমস্ত প্রবন্ধ পুস্তকাকারে প্রকাশ করিয়াছেন। ইহার “ঐতিহাসিক" ՀՊ*