পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেৰগণের মর্ত্যে আগমন গ্রন্থ ভারতবর্ষ, ইউরোপ, আমেরিকা প্রভৃতি স্থানে আদর প্রাপ্ত হইয়াছে। ইনি ভারতবর্ষের বহু প্রাচীন বৃত্তান্ত, অনেক দুষ্প্রাপ্য ও পালি গ্রন্থ এবং তাম্রশাসমাদি হইতে অনেক কষ্টে সংগ্ৰহ করিয়াছেন । ইনি বহরমপুরের অনারারি ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মিউনিসিপ্যাল, রেডিসেস, বিদ্যালয় প্রভৃতি কমিটির এবং চিকিৎসালয়ের সভ্য। এতদ্ব্যতীত কলিকাতা ও লওন প্রভৃতি স্থানের অনেক সভার সভ্যপদে নিযুক্ত আছেন । ইনি ভট্ট মোক্ষমূলার, বুলার প্রভৃতি ভাষাতত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিতদিগের নিকট পত্র লিখিয়া প্রাচীন ভারত সম্বন্ধে মতামত আনিয়া থাকেন । এখান হইতে কিছুদূরে যাইলে একখানি চাকার উপর আরোহণ করিয়া অতি দ্রুড বেগে এক ব্যক্তি দেবগণের কানের কাছে ভো শব্দ করিয়া চলিয়া যাইলে তাহারা পরস্পরে বলাবলি করিতে লাগিলেন—এই কলই সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট । দানা চাই মা, ঘাস চাই না, কোচম্যান চাই না, অথচ পৃষ্ঠে বহন করিয়া লইয়া যাইতে পারে । ব্ৰহ্মা। আচমকা যাচ্ছি, এমন সময় চাকাখানা আমার কানের কাছ দিয়া “ভেণ” শব্দে ছুটে যাওয়াতে বুকটা দুপ, দুপ, ক'র চে । কত রকম কলই ক’রেছে, য়্যা ! - তাহারা নগরের শোভা দর্শন করিতে করিতে এক স্থানে একটি প্রাসাদতুল্য অট্টালিকার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এ বাড়ীটি কি কোন নবাব ওমরাহের ? বরুণ। আঞ্জে, এ স্থানের নাম কাসিমবাজার। মহারাণী স্বর্ণময়ী নামে এক বিধবা রমণী এই বাড়ীর অধীশ্বরী।* স্বর্ণময়ী সংস্কৃত, বাঙ্গালা, পারসী, আরবী কোন ভাষায় সুশিক্ষিত নহেন । কিন্তু তিনি এমন বিষয়ের শিক্ষা লাভ করিয়াছেন যে, দুঃখী ব্যক্তির দুঃখ দেখিলে কাদিয়া ফেলেন। ক্ষুধাৰ্ত্ত ব্যক্তির ক্ষুধা দেখিলে অস্থির হন । বস্তুহীনকে বস্ত্র প্রদান—গৃহিণীকে গৃহ প্রদান-ইহার স্বভাবসিদ্ধ ধর্ম। ইহার কৃপা সকলের উপরেই সমান। ইনি দুঃখী বালককে পাঠের খরচ প্রদান করেন । গ্রন্থকারকে অর্থ সাহায্য করিয়া গ্রন্থ প্রচারে উৎসাহ দেন । নিরাশ্রয় রোগী ব্যক্তিকে আশ্রয় দিয়া চিকিৎসা করান । ইনি নিজচক্ষে সাধারণ লোককে নিজের পরিবারের স্তায় দেখেন। কোন দিন মহারাণীর কোন না কোন সৎকাৰ্য্য না দেখিয়া সূৰ্য্যদেব অস্তগামী হন না ৮

  • এক্ষণে ইহা মহারাজা মণীক্সচঞ্জ নন্দীর ক্ষ-সম্পাদক ।
  • e