পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরশিদাবাদ সালে ইনি প্রাপ্তবয়স্ক হইলে রাজপ্রতিনিধি আরল, অফ অকল্যাও ইহাকে রাজা উপাধি প্রদান করেন। ইনিও রীতিমত সুশিক্ষিত, দেশহিতৈষী এবং বিস্তাশিক্ষার উৎসাহদাতা ছিলেন। ডেভিড হেয়ার সাহেবের মৃত্যুর পর কলিকাতা মেডিকেল হলে দেশীয়দিগের যে একটি মহতী সভা হয়, সে সভা ইহারই যত্বে হইয়াছিল। ইনি ঐ সাহেবের প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্মাণ জন্য অনেক টাকা দানও কবিয়াছিলেন । কলিকাতার সুবিখ্যাত রাজা দিগম্বর মিত্র, সি-এস-আই মহোদয়কে ইনি এককালে এক লক্ষ টাকা দান করেন। ঐ এক লক্ষ টাকাই তাহার শ্ৰীবৃদ্ধির প্রথম সোপান । রাজা কৃষ্ণনাথ ইংরেজী ১৮৪৪ সালের ৩১শে অক্টোবর নিজ হন্তে গুলি করিয়া প্রাণত্যাগ করেন । দেবগণ ইহার পর মহারাণীর লক্ষ্মীনারায়ণজী প্রভৃতি দেবালয় দর্শন করিয়া নগরের রাস্তায় রাস্তায় কিছুক্ষণ ভ্রমণ করিলেন । বরুণ কহিলেন, “পিতামহ । এ সহরে দোকানদারেরা রজনীডে বাস করিবার জন্য অপরিচিত লোককে স্থান দান করে না। অতএব চলুন আজিমগঞ্জে প্রস্থান করি।” তাহার কথায় সকলে সম্মত হইলেন এবং একখানি নৌকা ভাড়া করিয়া আজিমগঞ্জের অভিমুখে চলিলেন। ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বরুণ মুরশিদাবাদের অপরাপর दिवृध्र दल * বরুণ। মুরশিদাবাদ ভাগীরথীর উভয় তীরে অবস্থিত। এই সহর দৈর্ঘ্যে পাচ মাইল এবং প্রস্থে আড়াই মাইল হইবে । কাসিমবাজার, বহরমপুর, মতিঝিল, জিয়াগঞ্জ প্রভৃতি স্থান সকল মুরশিদাবাদের অপ্তর্গত। মুরশিদাবাদে অনেক বড় বড় জমিদার ও সওদাগর বাস করেন । এই স্থান কোরার কারবারের জন্য বিখ্যাত। এই কারবার উপলক্ষে পূৰ্ব্বে অনেক ধনী ইংরাজ ও ফরাসী এখানে কুঠি করিয়া বাস করিত। বহরমপুরের ১৬ মাইল দূরে জামুদ্রার্কাদি নামক একটি স্থান আছে। জামুদ্রার্কাদির দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের জন্মভূমি। ইনি পাকপাড়ার রাজপরিবারের আদিপুরুষ। ঐ স্থানে তাহার প্রতিষ্ঠিত এক বিষ্ণুমূৰ্ত্তি আছেন। দেবমূর্তির প্রত্যহ বেশ সমারোহের সহিত সেবা হয় এবং যত অতিথি উপস্থিত হউক কাহাকেও বিমূখ করা হয় না। রাসের সময় বড় সমারোহ হইয়া থাকে। নৃত্য গীত ইত্যাদির খরচে দশ হাজার টাকা, বরান্ধ আছে। গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ লভ হেক্টংস সাহেবের দেওয়ান ছিলেন । এজন্ত তাহাকে দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ বলে। ইনি মাতৃশ্ৰাদ্ধে বড় সমারোহ করিয়াছিলেন, পুষ্করিণী খনন করিয়া

  • b*