পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মৰ্ত্ত্যে আগমন তিনি প্রত্যহ লক্ষ বলির পরিবর্তে এক বলি প্রাপ্ত হন কি না সন্দেহ । মন্দিরের সন্নিকটে স্বপুরের বাজার। স্থপুরে বাসা-বাট ও চাউল বড় সস্তা । পুনরায় ট্রেন ছাড়িল এবং ট্রেন দুইটি ষ্টেশন অতিক্রম করিয়া কান্থজংসনে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “পিতামহ ! এ স্থানের নাম কামুজংসন । এই স্থান হইতেই কভ ও লুপ লাইন নামক রেলওয়ের দুইটি শাখা দুই দিকে পৃথক হইয়া গিয়াছে! ঐ কড লাইনের ধারে বৈদ্যনাথ তীর্থ।” ব্ৰহ্মা । কতগুলো ষ্টেশন পরে বৈদ্যনাথ তীৰ্থ ? বরুণ । তা অনেকগুলো হবে—২০॥২১টার কম নয় । ব্ৰহ্মা ! তুমি, বৈদ্যনাথের উৎপত্তির কারণ বল । বরুণ। রাবণ স্বর্ণপুরী লঙ্ক নিৰ্ম্মাণ করিয়া মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন “এ নগরের প্রতিহারী কাহাকে নিযুক্ত করিলে নিরাপদে বাস করিতে পারি।” অনেক ভাবিয়া স্থির করিলেন, “দেবগণের মধ্যে দেবাদিদেব মহাদেবই সৰ্ব্বপ্রধান এবং ও লোকটাও সাদাসিদে । অতএব তাহাকে আনিয়া যদি নগরদ্বারে প্রতিহারী নিযুক্ত করা যায়, তাহা হইলে নিরাপদে বাস করিতে পারিব । অতএব অগ্ৰে যাইয়া তপশু দ্বারা সন্তুষ্ট করিয়া এই বিষয়ের জন্য বর প্রার্থনা করা উচিত।” আবার ভাবিলেন “বর প্রার্থনা করিবারই বা আবশ্যকতা কি ? স্ববলে কৈলাস পৰ্ব্বতটা উঠাইয়া আনিয়া লঙ্কার স্বারে স্থাপন করাইয়া দিই।” এইরূপ স্থির করিয়া লঙ্কেশ্বর কৈলাস পৰ্ব্বতের নিকট যাইয়া ঘন ঘন পৰ্ব্বত ধরিয়া টানিতে লাগিলেন । ইহাতে পৰ্ব্বত কঁাপিয়া উঠায় ভূতপ্রেতগণ ভীত হইয়া শিবকে গিয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিল। শিব কহিলেন, “তোমাদের কোন আশঙ্কা নাই, রাবণ আমাকে স্ববলে কৈলাস সহ উঠাইয়া লইয়া যাইবার জন্য চেষ্টা করিতেছে ; কিন্তু সে অকৃতকার্য হইবে।” এ দিকে দশানন অনেক চেষ্টা করিয়া পৰ্ব্বত উঠাইতে না পারায় দেবাদিদেব মহাদেবের তপস্ত করিতে বসিলেন । শিব রাবণের স্তবে সন্তুষ্ট হইয়া বর দিতে চাহিলে রাবণ এই বর প্রার্থনা করেন, “তোমাকে যাইয়া লঙ্কার স্বার রক্ষার ভার গ্রহণ করিতে হইবে।” মহাদেব তৎপ্রবণে কহিলেন, “তোমাদের প্রার্থনায় সন্মত আছি, কিন্তু আমাকে মস্তকে করিয়া লইয়া যাইতে হুইবে এবং পথিমধ্যে কোন স্থানে নামাইতে পরিবে না ; যদি নামাও, আর উঠিব না।” রাবণ এ কথায় সম্মত হইয়া শিবকে মস্তকে উঠাইয়া লঙ্কাভিমূখে চলিলেন । আমরা স্বর্গে এই সমাচার পাইয়া উখিয় হইলাম এবং রাবণকে প্রতারণা দ্বারা &b*