পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমান বরুণ। গণনাতে প্রায় ২-২৫টে হবে। এই পুষ্করিণীর চারিদিকে বাগান আছে । ওদিকে দেখ, খামসায়ের নামক আর এক পুষ্করিণী দেখা যাইতেছে। উহাও প্রায় এইরূপ আকারের এবং চতুর্দিকে ২-২৫টে ঘাট ও বাগান আছে । ক্রমে দেবগণ শু্যামসায়েরের নিকট আসিয়া দেখেন—অনেকগুলি বাড়ীঘর রহিয়াছে। বরুণ কহিলেন, “এই স্থানে আদালতের উকীল, মোক্তার ও কেরাণীরা বাস করে। ওদিকে দেখ, বৰ্দ্ধমানের জেলখানা দেখা যাইতেছে।” এই সময় সকলে দেখেন—একটী বাড়ীতে লোকে লোকারণ্য । বাড়ীটী তখন ঢোল বাজাইয়া নিলামে বিক্রয় হইতেছিল। এক হাজার দশ টাকা পৰ্য্যস্ত দর উঠিয়াছে, তথাপি একজন চাপরাশী হাকিতেছে—“এক হাজার দশ টাকা এক দে।” ; আমি একজন ঢুলি “দুম দুম” শব্দে ঢোলে ঘা মারিতেছে ব্ৰহ্মা । বরুণ । এখানে কি হচ্চে ? - বরুণ। যে বাবুর বাড়ী, তিনি দেন করায় দেন্দার টাকা আদায়ের জন্ত নালিশ করিয়া বাড়ীঘর নিলামে বিক্রয় করিয়া লইতেছে। নারা । এমন দেনা করিতে হয়, যাহাতে বাড়ীম্বর বিকায়ে যায় ? ব্ৰহ্মা। এ বাবুর এত দেনা কিসে হ’ল ? বরুণ। বাবুটা বড় বেখা ভাল বাসেন। এত ভাল বাসেন যে, একটা বেখাকে বেতন দিয়া একচেটিয়া করিয়া রাখিয়াছিলেন। ক্রমে বাবুর যাহা কিছু নগদ পুজিপাটা ঐ বেগু গ্রাস করিল, তথাপি বাবুর চক্ষু ফুটিল না, আবার যাতায়াত করিতে লাগিলেন । এবার বেখাট উহার হাতে কিছু নগদ নাই দেখিয়া প্রত্যেক রজনীতে এক একখানি থত লিখিয়া লইত । এইরূপে খতসংখ্যা বেশী হইলে, এক্ষণে সমস্ত টাকার দাবিতে নালিশ কবিয়া ভিটাস্থ ঘুঘুস্থ করিতেছে। - নারা। বেশ করেছে। ইহার দেখে অন্ত পাটাদের জ্ঞান জন্মাক । বরুণ । পিতামহ । ওদিকে ঐ যে একটী ক্ষুদ্র আকারের পুষ্করিণী দেখিতেছেন, উহার নাম বাহির সর্বমঙ্গল পুষ্করিণী। উহার জল বড় চমৎকার। জল খারাপ হইবার আশঙ্কায় কাহাকেও স্বান করিতে কিংবা বস্থাদি ধৌত কবিতে দেওয়া হয় না। নগরের যাবতীয় লোক এই পুষ্করিণী হইতেই জল পান করে { - এখান হইতে দেবগণ রাজার হাতিশালার নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন, ·象*