পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ১•১৫টা হাতী রহিয়াছে। তৎপরে তাহারা আর একটা পুষ্করিণীর তীরে উপস্থিত হইয়া সবিস্ময়ে চারিদিকে চাহিতে লাগিলেন । ইন্দ্র। বরুণ ! আমার অনেক পুষ্করিণী আছে সত্য, কিন্তু এমন সুন্দর ও বৃহদাকার পুষ্করিণী ত রাজ্যমধ্যে নাই। পুষ্করিণীটা এত বৃহৎ যে, পরপারে মাস্থ্যগুলিকে ক্ষুদ্র বলিয়া বোধ হইতেছে। এ সরোবরটর নাম কি বরুণ ? বরুণ। এই পুষ্করিণীর নাম কৃষ্ণসায়ের । এমন বৃহদাকার সরোবর বর্ধমানে আর দ্বিতীয় নাই। পুষ্করিণীর প্রত্যেক পাড়ে দেখ—কেমন সুন্দর সুন্দর পুষ্পবৃক্ষগুলি নানাপ্রকার ফল পুষ্পে শোভা পাইতেছে । ওদিকে দেখ কতকগুলি কণমান পাতা রহিয়াছে। প্রত্যহ রাত্রি এক প্রহর এবং প্রাতে চারিটার সময় এই স্থান হইতে এক একবার কামান দাগা হয়। দেবগণ চাহিয়া দেখেন—তীহাদের নিকটে একটা বাবু দাড়াইয়া আছেন । বাবুটার মুখ হৰ্ষযুক্ত। দেখিলে বোধ হয়, বাবু যেন কোন একটি সৎকাৰ্য্য করিয়া মনের আনলে ভাসিতেছেন। বাৰু হঠাৎ একটা লোককে নিকটে আসিতে দেখিয়া হাসতে হাসতে কহিলেন “কেমন হে, খুব সন্তুষ্ট হয়েছে ? তুমি বল্পে না কেন আমার মত বাৰু বৰ্দ্ধমানে আর নাই ! একি সহজ কথা ! মুখ থেকে থ’সতে না খ’সতে পাঁচ শত টাকার এক জোড়া শাল খরিদ ক’রে দিলাম।” আগন্তুক । ধরুন | বাৰু। কি ? আগ । আপনার শাল ফেরত এল । বাবু। আমি ভাজ ক'রে দিলাম, দলা সলা হয়ে ফেরত এল কেন ? আগ । ব’লে, “আমি এমন ছোট লোক নই যে, হাজার টাকার শাল চেয়ে শেষে পাঁচ শত টাকার শাল নিয়ে ক্ষান্ত হব।" এই কথা বলে, আপনাকে যা মুখে এল তাই বলে গালি দিয়ে, শালখানিকে কঁচি-কাটা ক’রে পুটুলি বেঁধে ফেরত পাঠিয়েছে। বাৰু। না হয়, না নিত। এমন খণ্ড খণ্ড ক'রে পাঁচ শত টাকা নষ্ট ক'বৃতে কি একটু মায়া হ’লে না ? একটু দয়ার সঞ্চার হলো না ? আগ । সে ত আর আপনার স্ত্রী নয় যে, দয়া-মায়ার শরীর হবে—কিসে আপনার আয়-পয় হবে তার চেষ্টা দেখবে । তার ইচ্ছ, যে প্রকারে হউক দশ টাকা উপার্জন করা, ৰে-সে প্রকারে আপনাকে পখের ফকির করা । । వఫీకి