পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্তমান “যা ব'ল্লে ! যা হউক, হাজার টাকা কৰ্জ ক'রে আমাকে অস্থই এক জোড়া শাল খরিদ ক’রে দিতে হবে ; নচেৎ বেখ্যা-মহলে আমার মান-সন্ত্রম -থাকবে না।" বলিয়া বাবু প্রস্থান করিলেন, আগন্তুকও সঙ্গে সঙ্গে গেল । নারা। বরুণ! আমি ত কিছু বুঝতে পারলাম না। বরুণ। বুঝতে পারলে না –বাৰু একটা বেগু রেখেছেন। সেই বেষ্ঠা বাবুর নিকট হাজার টাকা মূল্যের এক জোড়া শাল চায়। কিন্তু বাৰু পাঁচ শত টাকা মূল্যের এক জোড়া শাল খরিদ করিয়া দেওয়ায় সে রাগাম্বিত৷ হইয়া শালখানা খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেরত দিয়াছে। যে ব্যক্তি ফেরত লইয়৷ আসিল, উনি বাবুর মোসাহেব। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! কুলাঙ্গারের চোল বাজায়ে বাড়ীঘর বেচে নিচ্চে দেখেও কি চক্ষু ফুটে না ! এখান হইতে বরুণ দেবগণকে দক্ষিণদিকের ঘাটের চাদনির নিকট লইয়া গেলেন এবং কহিলেন “এই চাঁদনিট তিন-তালা। ইহার গৃহগুলি অতি সুন্দরব্রুপে সাজান আছে। একটা গৃহে ১৭৮ ডালের একটি ঝাড় ছিল। ঝাড়টী বজাঘাতে ভাঙ্গিয়া গিয়াছে । কোন বিদেশীয় রাজা কিংবা সস্ত্রাস্ত ইংরাজ বর্ধমান ভ্রমণে আসিলে মহারাজ র্তাহাদিগকে অতি সমাদরের সহিত এই স্থানে বাসা দিয়া থাকেন। এই বৈঠকখানাট ও বাগানবাটীতে রাজার অনেকগুলি চাকর প্রতিপালিত হইতেছে । ঐপঞ্চমীর সময় এবং মহারাজ ও মহারাণীর জন্মতিথিপূজা ( সালগিরা ) উপলক্ষে এই কৃষ্ণসায়েরের তীরে অনেক টাকার বাজী পুড়ে ।” ইন্দ্র। এই বৈঠকখানা দেখবার হুকুম আছে ? বরুণ। অাছে, চল তোমাদিগকে দেখাইয়া আনি । বরুণ দেখাইয়া আনি” বলিতে না বলিতে, উপ সৰ্ব্বাগ্রে সিড়ি ভাঙ্গিয় উপরে উঠিল এবং সে দ্রুতপদে উপরে রাজা দাড়াইয়া আছেন” এই সংবাদ দিতে জালিতে না আসিতে দেবগণ সেই স্থানে উপস্থিত হইয়া সম্মুখে রাজাকে .দেখিয়া স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইয়া বুহিলেন । যখন দেৰগণ হঠাৎ রাজাকে সম্মুখে উপস্থিত হইয়া থমকিয়া দাড়াইয়া -পরম্পর পরম্পরের মুখ চাহিতে লাগিলেন, বরুণ কহিলেন “পিতামহ । ইনি -প্রকৃত রাজা নহেন, স্মৃত্তিকার দ্বারা রাঙ্গার প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া, রাৰিয়া দিয়াছে।" - ...' e 美事愈