পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बुईयोंन আমাকে ধরিয়া জানিবার কোন আপত্তি ছিল না। জামরা অত্যন্ত তালমায়ুব ; তবে এ অত্যাচার কেন ? আমি দুঃখিত হইলাম, ইংরাজরাজ মানুষের প্রতি মামুখে অত্যাচার করিতেছে দেখিয়াও দেখেন না।” ইহার পর সকলে এক স্থানে যাইয়া দেখেন-নীল, লাল, সাদা বানরগণ রহিয়াছে। সাদা বানরগণ অনেক দুঃখ করিল এবং কাদিতে কঁাটিতে কহিল *দেখুন কালে আমাদের বল বিক্রম কিছুই নাই। আমরা রুজের অংশে জন্ম গ্রহণ করিয়াছি, সমূদ্র পার হইয়া লঙ্কা দাহ ও রাবণবংশ-ধ্বংস করিয়াছি। কিন্তু এক্ষণে আমাদের বল বিক্রমের কত হ্রাস হইয়াছে ; সামান্ত লৌহখৃঙ্খল ছিন্ন করিয়া স্বাধীন হুইবার সামর্থ নাই ! আপনারা রবণভয়ে ভীত হওয়াতেই আমরা বানররূপ ধারণ করি । কিন্তু দেবগণের উপকণর করিয়া এক্ষণে যথেষ্ট সুখভোগ করিতেছি ; আপনাদিকে প্রণাম করি ” এখান হইতে দেবগণ অপর স্থানে যাইয়া দেখেন—কতকগুলি বালিহংস, রাজহংস এবং পাতিহংস রহিয়াছে। রাজহংসেরা পিতামহকে দেখিয়া কাদিতে কঁাদিতে কহিল “আপনাকে বহন করার উত্তম প্রতিফল দিতেছেন ।” দেবগণ পশু পক্ষীর রোদনে অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন । বরুণ এই সময় । সকলকে লইয়া গোলক ধর্ণধার মধ্যে প্রবেশ করিলেন । 3. পিতামহ গোলক ধাঁধার মধ্যে প্রবেশ করিয়া বিপদে পড়িলেন। তিনি যে দ্বার দিয়া বাহির হইতে যান, দেখেন একই আকারের কাঠের রেলিং লাল বর্ণের পুস্পলতা দ্বারা আচ্ছাদিত। সকল রাস্তাই একরূপ পরিসর এবং একপ্রকার টবে ও একপ্রকার পুষ্পবৃক্ষে স্থশোভিত । ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ ক’রেছে কি ! কত জমিতে যে গোলকধাঁধা রহিয়াছে, তাহার স্থিরতা নাই । বরুণ। জমি হদ এক কাঠা জান্দাজ । ইহার আকার অবিকল জিলিপীর প্যাচের স্থায় । প্রত্যেক বেড়ার গাত্রে অসংখ্য স্বার অাছে। এবং প্রত্যেক বেড়ায় একপ্রকার লতা পুষ্প থাকায় লোকে সহজে বাহির হইতে পারে না। ব্ৰহ্মা । আমার ভাই প্রাণটা ইপো হাপো ক’বৃচে । বাহির কর । নারা। না বরুণ একটু চেষ্টা ক’রে আগে দেখা যাক। ব্ৰহ্মা। তোর ইচ্ছা হয়, তুই থাক। বরুণ ! বাহির ক'রে নিয়ে চল । কি জানি, পাছে ঘুরে ঘুরে ঘূর্ণ রোগ হয়। বরুণ সকলকে বাছির করিয়া জানিয়া এক স্থানে উপস্থিত হইয়া কহিলেন 霹雳。