পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন “পিতামহ । মাটির মধ্যে একটী গৃহ দেখুন। এই গৃহী গ্রীষ্মকালে বড় শীতল থাকে। গৃহটা উত্তমরূপে সাজান আছে। এখান হইতে সকলে একটী ক্ষুঞ্জ পুষ্করিণীর তীরে যাইয়া দেখেন, অসংখ্য বৃহদাকার মৎস্ত জলে সস্তরণ দিতেছে। বরুণ। পিতামহ ! এই যে চারি পাড় উত্তমরূপে ইষ্টক দ্বারা বাধীন পুষ্করিণীটা দেখিতেছেন, ইহার নাম গজগিরি পুষ্করিণী। পুষ্করিণীর পশ্চিমদিকে ঐ যে একটী বৈঠকখানা রহিয়াছে, ঐ স্থানে বসিয়া বর্ধমানাধিপতি মধ্যে মধ্যে মোসাহেবদিগের সহিত মৎস্ত ধরিয়া থাকেন এবং শীতকালে ঐ ছাদের উপর উঠিয়া ঘুড়ি উড়ান। উপ। বরুণ কাক ! আমার ত আর চাকরী বাকরী হ’লো না, ইচ্ছা করে বর্দ্ধমানের রাজার মোসাহেবী করি । মোসাহেবদের মাইনে কত ? বকুণ কাক ! বল না মাইনে কত ? এখান হইতে দেবগণ নগরের মধ্যে প্রবেশ করিলেন । সকলে রাজার : গোলাবাটীর নিকটে উপস্থিত হইয়া দেখেন—অসংখ্য দীন দুঃখীকে অকাতরে চাউল, লবণ ইত্যাদি বিতরণ করা হইতেছে। তাহার রাজার দানের প্রশংস{ করিতে কবিতে অশ্বশীলার নিকটে যাইয়া দেখেন—৩০৪৪টি সুন্দর স্বন্দর . অশ্ব বিরাজ করিতেছে। সহিসেরা তাহদের গাত্রে হস্ত বুলাইয়া দিতেছে। এখান হইতে সকলে গাড়ির আস্তাবলের নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন— অনেকগুলি গাড়ি রহিয়াছে। এই সময় আস্তাবলের ছাদ হইতে “টং” “টং” শবো নয়টা বাজিল। ইহার পর দেবগণ রাজপ্রাসাদের নিকটে উপস্থিত হইয়া একদৃষ্টি চাহিতে লাগিলেন। বরুণ । পিতামহ । এই রাজপ্রাসাদ । বাড়ীটী সৰ্ব্বসমেত তিন তালা । ইহার এক একটী গৃহ এমন সুন্দরন্ধপে সাজান আছে যে, স্বরলোকে তেমন আছে কি না সন্দেহ ! - ইন্দ্র। গৃহগুলি দেখিতে পাওয়া যায় না ? “চল না” বলিয়া বরুণ দেবগণসহ প্রাসাদের মধ্যে প্রবেশ করিলেন । সকলে প্রস্তরনির্মিত জলের ঢেউ-খেলান মেঝের উপর উপস্থিত হইয়া জলে আছেন কি স্থলে আছেন বিশ্বত হইলেন । গৃহটর চতুর্দিকে বৃহদাকার আয়না সকল এরূপ ভাবে সংস্থাপিত আছে যে, তাহারা দ্বার ভ্রমে বহির্গত হইতে যাইরা ঘন ঘন আঘাত প্রাপ্ত হইতে লাগিলেন এবং প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতিবিম্ব আয়ন মধ্যে দেখিয়া, কে কোন গৃহে আছেন স্থির করিতে না

  • 彎鷺