পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে অাগমনঃ কুদ্ধ পাতা জলের উপরে উঠিল, কিন্তু নিকটে আসিল না ; তখন খামার মা হতাশ্বাস হইয়া মরাকান্না আরম্ভ করিলেন। মেম্ভার মা এবার সিমি ভাসাইলেন ; তাহার সিয়ি ডুবিল। কিন্তু যে মৎস্তটা মুখে করিয়া লইয়া গিয়াছিল, তাহার মুখ হইতে অপর একটা মৎস্ত কাড়িয়া লইবার উদ্যোগ করাতে কতক পাটালী জলে পড়িল এবং অত্যন্ত্র সিন্নিসহ মংগুটী পাতা মুখে করিয়া তীরের দিকে আসিল ; মেম্ভার মা অমনি “ঐ ভেসেছে” “ঐ ভেসেছে" ৰলিয়া লাফাইয়া জলে পড়ায় মৎস্তটা সিমির পাতা ফেলিয়া পলাইল । মেস্কার মা সিন্নি হতে পাইয়া সহৰ্ষে উলু দিতে দিতে তীরে উঠলেন । ক্ষেমার মারও ঠিক ঐ দশ ঘটিল। তখন উভয়ে জাকাইয়া উলু দিতে লাগিলেন। খামার মা ক্টাদিতে কাদিতে কহিলেন “পোড়া-কপালে পীরের আমি যে কি ক’রেছি, ব’লতে পারিনি। সকলের সিরি ফেরত দিলে, কেবল আমার দিলে না ! গোল্লায় যান, গোল্লায় যান।” ' দেবগণ এই সমস্ত দেখিয়া হাশু করিতে করিতে নগরের উত্তর দিকে একট বৃহদাকার পুষ্করিণীর তীরে উপস্থিত হইয়া সবিস্ময়ে চাহিতে লাগিলেন এবং পিতামহ কহিলেন “বরুণ ! এ পুষ্করিণীটি কি ?” বরুণ। এই পুষ্করিণীটা প্রায় ১৩২ হাত বিস্তৃত। গোযুদ্ধের পূৰ্ব্বে পাণ্ডুয়ার হিঙ্গুদিগের মনে বিশ্বাস ছিল—যুদ্ধে কাহারও প্রাণত্যাগ হইলে ইহার পবিত্র জলে প্রাণদান করিতে পারে। অতএব এই পবিত্র সরোবরটী পাণ্ডুয়ায় থাকিতে কেহ নগর আক্রমণ করিয়া জয়লাভ করিতে পরিবে: না। কিন্তু গোযুদ্ধে যে সমস্ত সৈন্ত হত হইয়াছিল, তাহারা প্রাণ পাইল না দেখিয়া কহিল ‘নিঃসন্দেহে মুসলমানেরা ইহার পবিত্র জলে গোমাংস নিক্ষেপ করিয়া অপবিত্র করিয়া দিয়াছে।” ব্ৰহ্মা । গোযুদ্ধ হয় কোথায় ? * * বরুণ। অাজে, ঠিক ষ্টেশনের সন্নিকস্থ ময়দানে। রেলওয়ে রাস্তা ও ষ্টেশন নিৰ্ম্মাণ সময়ে বিস্তর কবর ভগ্ন হওয়াতে অনেক মড়ার মাথার খুলি, হাড়, পঙ্গর বাহির হইয়াছিল। " - দেবগণ আবার একদৃষ্টিতে পবিত্র পুষ্করিণীটার দিকে চাহিয়া দেখিতে লাগিলেন—উহার পাড় প্রকাও উচ্চ। কোন পাড়ে একটা ভাঙ্গা ঘাট পতিত, থাকিয়া ইহার পূর্বের সৌন্দর্ঘ্যের সাক্ষ্য দিতেছে। কোন পাড়ে বহুকালের একটী সামান্ত গৃহ বর্তমান রহিয়াছে । জলে অসংখ্য পদ্মফুল, লালফুল ও মধ্যে \e: e