পাণ্ডুয়া মধ্যে পানীক্ষলের গাছ সকল বিরাজ করিতেছে । জলের ধারে কর্দমের উপর দিয়া বকেরা নিঃশৰে পদ নিক্ষেপ করিয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৎস্ত ও কীট পতঙ্গ যাহা সম্মুখে পাইতেছে ধরিয়া ধরিয়া খাইতেছে । তীরে প্রকাও প্রকাগু অশ্বখ ও বট বৃক্ষের উপর মাচরাঙ্গা, শিক্রে ও অন্যান্ত পক্ষী সকল বসিয়া একদৃষ্টিতে জলের প্রতি চাহিতেছে এবং সময়ে সময়ে নক্ষত্ৰবেগে উড়িয়া আসিয়া জলে ডুব দিয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৎস্ত মুখে করিয়া লইয়া গিয়া আহার করিতেছে। তীরে অসংখ্য গরু চরিতেছে। মুসলমান রাখালের বৃক্ষতলে বসিয়া জংলা স্বরে এবং আড়খেমটা তালে গান করিতেছে— কালি পীর কি ফাগরে ফেললে আজি মোরে । ও মূই পুকুর পাডে হেরিয়ে এলুম মামুরে । কেন্তে টোক দিয়ে মোর হাতে, কোলকি আর পাচুনি লিয়ে, মামু ঢোকৃলো কোন পথে ; ও মুই ঠেউরে কিছু ট্যার পেলুম না, মামু তোবল বুঝি পোকুরে । দেবগণ গান শুনিতে শুনিতে এক স্থানে উপস্থিত হইলে ইন্দ্র কহিলেন “পেড়োয় কি পূর্বে নদী ছিল ?” সন্মুখে শুষ্ক নদীর মত কি দেখা যাইতেছে ?” বরুণ। ১২•• সালে পাওয়া যখন রাজকীয় স্থান ছিল, তখন নগরের চতুৰ্দ্ধিকে প্রায় পাচ মাইল বিস্তৃত অত্যুচ্চ প্রাচীর এবং প্রাচীরের সংলগ্ন স্থগভীর পরিখা ছিল। সেই পরিখার বর্তমান চিহ্ন দেখিয়াই তুমি নদী ভাবিতেছ। উপ। বরুণ-কাকী ! দেখা যাচ্চে—ওটা কি ? বরুণ। দেবরাজ ! সম্মুখে একটা বৃহদাকার কবর দেখ। ঐ কবরে অনেকগুলি মুসলমান চিরনিদ্রা-মুখ অনুভব করিতেছেন। পিতামহ ! এক্ষণে চলুন, মগরার টিকিট লইয়া ত্রিবেণী যাই । ত্ৰিবেণী বদদেশের মধ্যে একটা মহাতীৰ্থস্থান। কারণ, প্রয়াগে গঙ্গা যমুনা সরস্বতী একত্র হন এবং ত্রিবেণীতে জাসিয়া উহারা তিন দিকে পৃথক হইয়া যান। এই নিমিত্ত ত্রিবেণীর অপর নাম মুক্তবেণী এবং এই কারণেই ত্রিবেণী মহাতীর্থ। ব্ৰহ্মা। বরুণ! ত্রিবেণীতে যাইলে ত গঙ্গার সহিত সাক্ষাৎ হইতে পারে ? তুমি আমাকে ত্রিবেণীতেই লইয়া চল । এই কথায় সম্মত হইয়া সকলে ষ্টেশনের অভিমুখে চলিলেন। যাইতে যাইতে বরুণ কছিলেন, “এই পত্নীগ্রামে প্রায় তিন হাজার লোকের বাস। তন্মধ্যে তিন ভাগ মুসলমান --একভাগ হিন্দু। পূৰ্ব্বে এখানে বোম্বেটে °及》
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।