পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हद्विचांद्र নারায়ণ । আমরা উষাতে বাটি হইতে বাহির হইয়াছি । উষাকাল না দিন, না রাত্রি । অতএব উত্তম যাত্রা করাই হইয়াছে । আপনি অনর্থক মন খারাপ করিবেন না বরুণ । হরিদ্বারের দুইদিকে পৰ্ব্বতশ্রেণী, মধ্যে ত্রিধারা হইয়া গঙ্গ প্রবাহিতা। ঐ তিন ধারা কখলে আসিয়া মিলিয়াছে। পৰ্ব্বতসমূহে অনেকগুলি বাস করিবার উপযুক্ত গুহা আছে। তাহাতে সাধুগণ বাস করিয়া থাকেন। হরিদ্বারে সাধুগণের অনেক মঠ ইত্যাদি আছে, কিন্তু গৃহস্থ কেহ বাস করে না । আমাদের দেবগণ ১লা মাঘ সেই হরিদ্ধারে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । একে শীতকাল, তাহাতে পাহাড়ে দেশ ; অতএব, পাঠকগণ ! তথায় কিরূপ শীতের প্রদুর্ভাব বিবেচনা করিয়া দেখুন। আমাদের দেশে মাঘের শীতে বাঘের ভয়” যে চলিত কথা আছে, তার প্রত্যক্ষ ফল যদি কেহ পরীক্ষা করিতে চাহেন, শীতকালে একবার হরিদ্বার ভ্রমণে গমন করুন। দেবগণ যদিও অনেক শীতবস্ত্র সঙ্গে করিয়া আনিয়াছিলেন, তথাপি বুদ্ধ ব্ৰহ্মার বিশেষ কষ্ট হইতেছিল । তিনি যাইতে যাইতে কহিলেন, “ও বরুণ ! এ কোথায় আনলি ?” বরুণ । হরিদ্বার। ব্ৰহ্মা । হরিদ্বার না যমের দ্বার। দেখ দেখি, আমার ঠনঠনের চটিতে বরফ উঠছে, আর শীতে হাত-পা পেটের মধ্যে প্রবেশ কচ্চে । আগুন কর, না হলে মারা যাই । নারায়ণ ব্রহ্মার প্রতি তাকাইয়া বিশেষ দুঃখিত হইলেন এবং কহিলেন, “আপনাকে শীতকালে মর্ত্যে আসিতে কে বলেছিল ?” ব্ৰহ্মা ৷ লাধে কি যাচ্চি ? গঙ্গাকে যে বেঁধেছে ! বরুণ । আমরা ভাল ভেবে শীতকালে মর্ত্যে আসিতে চাহিয়াছিলাম, কিন্তু কপালক্রমে মন্দ হইল । ব্ৰহ্ম । আপাততঃ আমাকে আগুন করে সেক-তাপ দিয়ে বঁাচাও । এই সময় অদূরে কতকগুলি কুটির দেখিয়া বরুণ কহিলেন, “চলুন, ঐ ফুটরের মধ্যে যাইয়া আপাততঃ আশ্রয় লই । বোধহয়, সম্প্রতি হরিদ্বারের মেলা হইয়া গিয়াছে।” এই কথা বলিয়া সকলে কুটিরের মধ্যে উপস্থিত হইলেন এবং চকমকি বাহির করিয়া যুঁকিতে লাগিলেন। শোলাগুলি খারাপ '&t