পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডুয়া “বর্ধমানে কাজ শেষ করিয়া পাওয়া দেখিতে আসিলাম। সেখানে আপাততঃ আমার বৈমাত্রেয় ভ্রাতারা ( হাতুড়ে ডাক্তার ও কবিরাজ ) রছিলেন। র্তাহীদের দ্বারাই বাকী কাজ শেষ হইবে । আমি অস্ত রাত্রে পাণ্ডুয়া দেখিয়া কল্য প্রত্যুষে কলিকাতায় যাইবার মানস করিয়াছি। তথায় আপনাদিগের সহিত সাক্ষাৎ হইবার সম্ভাবনা । কলিকাতায় যাইবার আমার অন্ত কোন কারণ নাই। কেবল আসিবার সময় কালিন্দী কয়েকটা বাধাকপি, কতকগুলো কমলা লেবু এবং ছেলেদের গাত্রে দিবার জন্ত কয়েকখানি রেফার খরিদ করিয়া লইয়া যাইতে বিশেষ করিয়া বলিয়া দিয়াছে, সেই জন্যই যাওয়া ।” ব্ৰহ্মা । যম! তুমি গ্রাম ও নগরগুলি ধ্বংস করিয়া কি তাল কাজ করিত্রেছ ? অকালে সব জীবহত্যা করা কি তোমার উচিত হইতেছে ? যম । আঞ্জে, আমি ত স্ব-ইচ্ছায় জীবহত্যা করিতেছি না । তাহীদের দুঃখ দেখিয়া দুঃখ দূর করিতেই অগ্রসর হইয়াছি। আমি দেখিতে পাই, লোকে আর পেট পূরে দুগ্ধ পান করিতে পায় না, দুই সন্ধ্যা তৃপ্তির সহিত অল্প আহার করিতে পায় না, ভাল বস্ত্রদি পরিধান করিতে পায় না, হাতে পয়সা নাই অথচ দেশলায়ের কাঠিটা পৰ্য্যস্ত কিনে সংসারধর্শ্ব করিতে হয় । সেই সমস্ত কষ্ট দূর করবার জন্য চালান দিতেছি। যাহারা আমার আলয়ে যাইবার জন্য হস্ত তুলিয়া ডাকিতেছে, যাহারা আমার নিকট যাইবার ইচ্ছায় জর হইবামাত্র বিলাতী ঔষধ খাইয় পেটে প্লীহা ও যকৃৎ করিতেছে, যাঙ্গর। সমস্ত দিন কোন পরিশ্রম না করিয়া “আমি কখন ভাকিব” কেবল তাই ভাবে, তাহাদিগকেই আমি গ্রহণ করি । ঠাকুরদা ! যে দুঃখভোগ করিতেছে, তাহার দুঃখ যদি না দূর করি,—ষে শোকে তাপে কাদে, তাহার কায় যদি না থামাই,—যে ক্ষুধা তৃষ্ণায় কাতর, তাহার খাওয়া পর। যদি না ঘুচাই, আমার যে ধৰ্ম্ম নামে অধৰ্ম্ম হবে । - নারা । পাণ্ডুয়ায় এলে কেন ? যম । ভাই ! আমার অনেক দিন পৰ্য্যস্ত ইচ্ছা আছে—পীরকে এক রাত্রি অন্ধকারে রাখবো। পে শব্দে ট্রেন ছাড়িল এবং কিছু দূরে যাইলে বিপরীত দিক হইতে একখানি ট্রেন আসিল । উভয় ট্রেন নক্ষত্রবেগে সাং সাং শব্দে বিছাতের স্তায় অদৃশু হুইয়া হুপাকৃপ শব্দে ছুটিতে লাগিল । ব্ৰহ্মা। ঐ গাড়ীখান এ খানার কাছে এলে আমার বড় ভয় হইয়াছিল। \రి:R\డి