পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিবেণী লেখাপড়া তাদৃশ জানিতেন না। অনেকে বলে—শাস্তিপুরে ইহার বাড়ী ছিল। কিন্তু গুপ্তিপাড়ায় বিবাহ করাতে সচরাচর শ্বশুরালয়ে বাস করিতেন এবং ঐ স্থানের বৃন্দাবনচন্দ্র নামক বিগ্রহের বাড়ীতে চারি পাঁচ টাকা বেতনে গোমস্তগিরি কৰ্ম্ম করিতেন। এক সময়ে আশানন্দ হুগলি হইতে বৃন্দাবনচন্দ্রের কয়েক শত টাকা লইয়া গুপ্তিপাড়ায় প্রত্যাগমনকালে ডুমুরদহের দীঘির ধারে বসিয়া ফলার করিতেছিলেন, পশ্চাতে চাহিয়া দেখেন—দুই জন লাঠিয়াল দণ্ডায়মান রহিয়াছে। তাহারা কেন দণ্ডায়মান রহিয়াছে জিজ্ঞাসা করিলে বলে—“ডুমুরদহে কিসের ভয়, তাহা কি তুমি জান না ?” “জানি, দাড়া—এই কয়টা খেয়ে নিই” বলিয়া আশানন্দ আহার সমাপনস্তে দীঘির জলে মুখ হাত প্রক্ষালন করিয়া যেমন উপরে উঠতেছিলেন, ডাকাইতেরা তীহাকে ঘন ঘন আঘাত করিতে লাগিল। তখন আশানন্দ তাহাদিগের প্রতি চাহিয়া ঈষৎ হান্তপূর্বক উভয়ের হস্ত হইতে যষ্টি কড়িয়া লইলেন ও দুই জনকে দুই বগলে করিয়া গুপ্তিপাড়ায় উপস্থিত হইলেন এবং শ্বশুরকে কহিলেন, “কি দুটা জন্তু ধরিয়া আনিয়াছি—প্রদীপ আনিয়া দেখুন " শ্বশুর প্রদীপ আনিয়া দেখেন—দুটি লোক অচৈতন্ত অবস্থায় আছে। তৎপরে অশানন্দ তাহদের চোখে মুখে জলের ছিটা দিয়া চৈতন্য সম্পাদন করিয়া উত্তমরূপে আহার করিতে দিলেন। কিন্তু বিদায়কালে, পাছে তাহার পুনরায় মন্ত্রপ্তহত্যা করে এই আশঙ্কায়, দুই জনের দুই খানি হস্ত ভাঙ্গিয়া দিয়াছিলেন । - ব্ৰহ্মা। বরুণ ! আশানন্দ কি বলবান পুরুষই ছিল ! আমার বোধ হয়, সে রীতিমত যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা করিতে পারিলে কলির তীম হইতে পারিত। ইন্দ্র । আর কি তেমন টেকী জন্মে ? বরুণ। এক্ষণে বিষ্কার চে কী বিস্তর পাওয়া যায়, বলের ঢেকী বিরল । হয়েছে কি জানেন, আর এখন কেহ কুস্তি কি ব্যায়ামশিক্ষা করে না । আর যদিও কেহ করে, তাহদের তেমন খোরাক জোটে না । তম্ভিয় পূর্বের স্তায় নির্জল ছদ্ধ ও খাটি স্বত কাহারও পেটে পড়ে না ; স্বতরাং টেকী জন্মিলেও সাধারণ্যে প্রকাশ পায় না । দেবগণ সন্ধ্য আহ্নিক সমাপ্ত করিয়া দোকানঘরে জাসিয়া জলযোগ করিলেন এবং অনেক রাত্রি পর্য্যস্ত সকলে বসিয়া গল্প করিতে লাগিলেন.। তাহার। স্বৰ্গ হইতে কত টাকা জানিয়াছিলেন, এ পর্যন্ত কত খরচ হইয়া, లిగిరి