পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন কত আছে এবং যাহা আছে, তাহাতে আর কত দিন চলিতে পারে, এ বিষয়ে মুখে মুখে একটা হিসাব করিলেন । ক্রমে বাজারে লোকে লোকারণ্য । বারোইয়ারি-তলায় যাত্রা বসিয়াছে । খুলীর “স্ব ঘিচা” “খা বিচা” শব্দে খোল বাজাইতেছে । পিতামহ “উপ ! ওঠ—যাত্রা শুম্ভে যাই” বলিয়া উপকে তুলিলেন এবং সকলে আসরে গিয়া উপবেশন করিলেন। তাহারা গিয়া বসিবার অব্যবহিত পরেই সাজানো কৃষ্ণ আসিয়া দেখা দিলেন । তাহার ম্যালেরিয়া জরে পেটে প্লীহা ও যকৃৎ হওয়ায় পেট টা মোটা হইয়াছিল। গাত্রের বর্ণে প্রকৃতই কৃষ্ণ । পরিধানে ছেড়া নেকৃড়ার পীতধড়া । বক্ষে খড়ি-মাটির ধ্বজ-বজাঙ্কুশ-চিহ্ন। মন্তকে শোলার চুড়া হস্তে বঁাশীর স্থলে একগাছি লাল ছড়ি । ছোড়াটা আসিয়া দেবগণের সম্মুখে ত্রিভঙ্গ হইয়া দাড়াইল। তাহার ভঙ্গী দেখিয়া দেবগণ হান্ত করিতে লাগিলেন ; নারায়ণ কিছু লজ্জিত হইলেন । এই সময় খুলীর আবার বাস্থ্য আরম্ভ করিল—“তাক তাক তাকৃত বিনা”—“বিচাং বিনা তাকৃত ঘিনা”— অমনি কৃষ্ণ মুখে হাত দিয়া “আয় আবু আবু ধালি। মা ননী দে।” শব করিয়া তালে তালে পা ফেলিয়া নৃত্য আরম্ভ করিল। পিতামহ নৃত্য দেখিয়া হেসে লুটে পড়িলেন। দেবগণ নারায়ণের কানে কানে কহিলেন “ভাই, পেটের জালা ধরলে তুমি কি ঐ বেশে ঐক্লপ নৃত্য ক’রে ননী চাহিতে ?” নারা। বাঃ । তা চাব কেন ? বাঙ্গালীদের বড় অন্যায়! আমাকে তাহারা দেবতা বলে পূজা ক’বৃতেও ছাড়ে না, আবার স্থলবিশেষে সং সাজিয়ে ৰানর-নাচও নাচিয়ে থাকে । همين এই সময়ে আটচালার বাহিরে একপাল ছেলে গান ধরিল । ক্রমে দলটা গান করিতে করিতে আসরে আসিয়া দেখা দিল । তৎপশ্চাৎ পশ্চাৎ গোপকামান স্থূলকায় কৃষ্ণবর্ণ দূতীও আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সকলে আসরে আসিয়া এই ভাবে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন, যেন রাস্ত দিয়া চলিয়া যাইতেছে। সাজান কৃষ্ণ উঠিয়া এক প্রাস্ত হইতে কহিল—“বিন্দে ও বিনো ! বলি কথা কও”—“দৃতি, দৃতি । বলি কথা কও ; দুটো কথা কওয়ায় দোষ কি ? বিন্দে ও বিন্দে—* t বিদে অমনি চক্ষু ছটা খুরাইয়া, ভাইনে বঁায়ে সেই সমস্ত ললিত বিশাখা প্রভৃতিকে লইয়া লণ্ঠনের দিকে চাহিয়া দুই হস্ত বিস্তার করত দেবগণের সম্মুখে দাড়াইয়া অতি মৃদ্ধ স্বরে গান ধরিল ;– \sNడిy