পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৈব কি কথা, নহে কবার কথা ; কইলে কথা লোকে বলে কত কথা । {-পুনশ্চ ঘাড় হেঁট করিয়া হস্ত নাড়িয়া অতি সজোরে )— কৈব কি কথা, নহে কবার কথা ; কইলে কথা লোকে বলে কত কথা । করলে তোমার নাম, হয় হে দুর্নাম, সে বদনামে শ্বাম, তোলা যায় না মাথা ॥ কইলে কথা যদি কেহ দেখতে পায়, কিম্বা লোকমূখে যদি ভস্তে পায়, যে প্রকারে হউক যদি প্রকাশ পায়, হবে নিরুপায়, সে বড় লজার কথা । শ্ৰোতৃবর্গ এই সময় চতুৰ্দ্ধিক হইতে “হরি হরি বল ভাই” বলিয়৷ চীৎকার করিয়া. উঠিল। নারায়ণ চটিয়া আগুন । তিনি দেবগণকে কহিলেন, *আপনার যাত্রা শুনুন, আমি চ'ল্লাম । কি বলবো আজ যদি সে মূৰ্ত্তিতে জীবিত থাকৃতাম তা হ’লে বেটাদের নামে ডিফামেসন অব ক্যারেক্টরের দাবিতে নালিশ ক’রে আচ্ছা জব্দ করতে পারতাম” বলিয়া গাত্ৰোখান করিয়া চলিয়া যাইলেন । দেবগণের ভাগ্যেও আর গান শুনা হইল না, পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন । প্রাতে দেবতারা গঙ্গাস্বান করিয়া মগর অভিমুখে চলিলেন। তাহারা বারোয়ারি তলার নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন-লোকে লোকারণ্য, সকলেই একবাকো কহিতেছে—গান বডেড জমেছে । তাহারা শুনিলেন—আটচালার মধ্যে বালকগণ নাচিতে নাচিতে এই গানটী ধরিয়াছে ;– আর আমি যাবনা সখি ! যমুনার জলে । নিতান্ত লম্পট কৃষ্ণ কলসী দেয় ফেলে ; দৃতি কাকের কলসী দেয় ফেলে। নারা । উৎসন্ন যাও । ব্ৰহ্মা । বরুণ ! অবতার হ’ল বৃন্দাবনে ; এরা এত পেয়ে বসলে কেন ? সকলে ত্রিবেণীর বাহিরে যাইলে বরুণ কহিলেন “এই ত্রিবেণী এক সময় জনাকীর্ণ নগর ছিল। তখন ইহার শোভা-সমৃদ্ধির পরিসীমা ছিল না । সুপ্রসিদ্ধ স্বাৰ্ত্ত রঘুনন্দন ভট্টাচার্ধ্য প্রণীত প্রায়শ্চিত্ততত্বে লিখিত আছে – . ריסאס\