পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্রিবেণী অট্টালিকাদির চিহ্ন দৃষ্ট হইয়াছে। ফলতঃ কাল সকল সময়ে সকল স্থানকে এক ভাবে রাখে না। কালের স্রোতে ত্রিবেণী এক্ষণে অরণ্যপূর্ণ ও মহন্তবিহীন হইয়াছে। দুর্গাস্ত ম্যালেরিয়া, গ্রামস্থ অপর লোকগুলিকে গ্রহণ করিবার চেষ্টা করিতেছে। এখানকার লোকের চরিত্র সাধারণতঃ মন্দ নহে। মাতাল অপেক্ষা গুলিখোরের সংখ্যা বেশী । ইহাদের আশঙ্কায় স্ত্রীলোকেরা প্রাতে গঙ্গাস্নান বন্ধ করিয়াছে। ত্রিবেণীতে গ্রহণ ও উত্তরায়ণের সময় বিস্তর যাত্রী গঙ্গাস্নানে আসিয়া থাকে । চ'লে আস্বন, টিকিটের ঘণ্টা দিয়াছে। দেবগণ দ্রুতপদে যাইয়া টিকিট লইতে না লইতে ট্রেন আসিয়া উপস্থিত হইল। সকলে তাড়াতাড়ি টিকিট খরিদ করিয়া গাড়ীতে উঠিয়া বসিলেন । ট্রেন আবার নক্ষত্ৰবেগে ছপাছপ, শব্দে ছুটিতে লাগিল । উপ। ঠাকুর কাকা । কলসী দেয় ফেলে”—ও গানটা তোমার মনে আছে ? নারা। আরে জেঠা ছেলে। তুই কি চুপ ক’রে বসে থাকতে পারিস নে ? ক্রমে ট্রেন হুগলিতে আসিয়া উপস্থিত হইল। দেবগণ গেটে টিকিট দিয়া বাহিরে আসিলেন এবং একখানি ঘোড়ার গাড়ী ভাড়া করিয়া নগরাভিমুখে চলিলেন । \రిశ్రీ)