পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুগলী করে ?” কাশীনাথ র্যা !" শব্দে উত্তর দিয়া তুড়ি দিতে দিতে কহিল, “জাহারের পর নিদ্রা যাওয়াটা অভ্যাস থাকায় একটু তজা আসছিল । তুমি’ ভাল ক'রে শোন ; তার পর তুমিও যা ব’লবে, আমিও তাই ব’লবো। ঐ কথা দুটো কি ?—একটা "নটু গিলটি" আর একটা “গিলটি”—কেমন নয় ?” এখান হইতে বাহিরে আসিয়া দেবগণ দেখেন—আমলা, মোক্তার এবং উকীলের দল একটা বাবুকে লইয়া ব্যঙ্গ করিতেছেন। একজন মোক্তার কহিতেছেন, “মহাশয়েরা এই বাবুটকে ভাল করিয়া দেখিয়া রাখুন। পারেন ত গোবরের ছাঁচ করিয়া ই হার মূৰ্ত্তি তুলিয়া লউম । ইনি একজন কম লোক -নহেন ; লোকে পিতৃঋণ পরিশোধ করিতে পারে না। কিন্তু ইনি পিতৃঋ৭ পরিশোধ করিয়া কিঞ্চিং ফাজিল হওয়ায় ডিক্রি করিয়া বাপের বাড়ীম্বর বিক্রয় করিয়া লইবার জন্ত নালিশ করিয়াছেন ।” 'ব্ৰহ্মা। বরুণ ! কাণ্ডটা কি ? বরুণ। ঐ বাবুটা এক সময় পিতার সহিত বিবাদ করিয়া বাটা হইতে চলিয়া যান। ই হার বাট হুগলী জেলার অধীন বেণীপুর থানার অন্তর্গত। বাট হইতে প্রস্থান করার অব্যবহতি পরে উহার কমিসরিয়েটে কৰ্ম্ম হয়। ঐ কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইয়া বাৰু বিপুল অর্থ উপার্জন করিয়া স্বদেশে আগমন করেন ; কিন্তু পিতার উপর রাগ থাকায় পাছে তাহার মুখ দর্শন করিতে হয়, এই আশঙ্কায় আর পিতৃভবনে যাইলেন না । স্বতন্ত্র বাস করিবার জন্ত ঐ গ্রামে একটা স্বন্দর অট্টালিকা নিৰ্মাণ করাইলেন এবং ক্রমে ক্ৰমে বাবুর বাগানবাটা, ঠাকুরবাটী, প্রমোদ কানন ও স্কুলবাট প্রস্তুত হইলে দ্বারে প্রহরী বসাইয়া তাহাকে আজ্ঞা দিলেন, “বাবা যদি কখন কিছু দেখিতে আসে, গলা ধাক্কা দিয়া বিদায় করিয়া দিস।” পিতা, পুত্রের ঐশ্বৰ্য্য দেখিয়া স্থখী হইলেন ; কিন্তু তাহার বাড়ী ঘর একবার চক্ষে দেখিবার ইচ্ছা হইলেও অপমানের ভয়ে iদেখিতে সাহসী হইলেন না । পুত্র, পিতার বাসভবন কিরূপে কাড়িয়া লইয়া তাহাকে গ্রাম হইতে তাড়াইয়া দিবেন, এই চেষ্টায় ফিরিতে লাগিলেন। দৈবক্রমে পিতার কোন বিষয়ের জন্ত কিছু অর্থের প্রয়োজন হইলে, পুত্ৰ বেনামিতে পিতার বাট বন্ধক রাখিয়া টাকা কঙ্গ দেন। এক্ষণে সেই টাকা স্বদে আসলে আদায় করিয়া লইবার জন্য পিতার নামে নালিশ করিয়াছেন। ৰক্ষ । উঃ ! কি পাবও । হতভাগার মূখ দেখলে পাপ হয়। বরুণ । ‘অন্ত স্থানে চল । ege