পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হগলী জষ্ঠ ব্যয়িত হইবে। দুই অংশ মাতয়ালিদিগের নিজ ব্যয়ার্থ প্রদত্ত হইবে। তিন অংশ হইতে সরকারী লোকজনের বেতন দান এবং অপর অংশ হইতে মাসিক বৃত্তি দান করা হইবে। মাতয়ালিরা লোকজন নিযুক্ত বা পদচ্যুত করিতে পরিবেন, এবং আপনাদিগকে অক্ষম বিবেচনা করিলে প্রতিনিধি নিযুক্ত করিয়া কাৰ্য্য চালাইতে পরিবেন। এতদৰ্থে আমি এই দানপত্র লিখিয়া দিলাম। আবখ্যক হইলে ইহা বিচারালয়ে আমার নিদর্শন দলিলস্বরূপ হইবে । লিখিত তারিখ ১৯এ বৈশাখ, ১২২১ হিজিরা ও ১২১৩ সাল । সকলে অনেকক্ষণ পর্য্যস্ত এমামবাড়ীর চতুর্দিকে দেখিয়া যেমন বহির্গত হইলেন, অমিন ঘড়িতে “চং” “চং” শব্দে দুটা বাজিল । ইন্দ্র । বরুণ ! এমন ঘড়ির শব্দ ত কুত্ৰাপি শুনি নাই ! বরুণ । ই ভাই, এমামবাড়ীর ঘড়িটী বড় বিখ্যাত । এই ঘড়ির শব্দ লোকে অনেক দূর হইতে শুনিতে পায় । পিতামহ ! এই হুগলী নগরেই প্রথমে ছাপাখানার স্বষ্টি হয়। হলহেড ও উইলসন সাহেব সৰ্ব্বপ্রথমে ঐ প্রেলে বাঙ্গালা ব্যাকরণ মুদ্রিত করেন । ১৮৭৮ অব্দে ঐ মুদ্রাযন্ত্রট এনড্রস নামক একজন পুস্তক-বিক্রেতা ক্রয় করিয়াছিলেন । - ইন্দ্র । মুদ্রণযন্ত্র কি পূৰ্ব্বে ভারতে ছিল না ? বরুণ । ছিল না কে বলিল ? : রাজপ্রতিনিধি ওয়ারেন হেষ্টিংস সাহেবের শাসনকালে বারাণসী জেলার সন্নিকটস্থ একস্থানে মুক্তিকা খনন করিতে করিতে একটা মুদ্রাযন্ত্র ও কতকগুলি অক্ষর বাহির হয়। ঐ মুদ্রাযন্ত্রদৃষ্টে স্থির হইয়াছে, প্রায় এক সহস্ৰ বৎসর পূর্বে এদেশে মূদ্রণযন্ত্রের প্রচলন ছিল ; পরে যবনাধিকারকালে নষ্ট হইয়া যায়। বর্তমান মুদ্রাযন্ত্র সকল ইংরাজের এদেশে আনিয়াছেন। এমামবাড়ী হইতে কিছু দূরে যাইলে উপ চীৎকার করিয়া কহিল, “বরুণকাক ! বরুণ-কাক ! এটা কি ?” বরুণ । পিতামহ, হুগলী জেল দেখুন। জেলখানার সন্নিকটে ঐ যে দেখিতেছেন, উহার নাম ঘোল ঘাট । এই ঘাটের সন্নিকটে ১৫৪০ খৃঃ অব্দে পর্তুগীজের একটা কেল্লা নিৰ্মাণ করে। কেল্লাটা এক্ষণে ভাঙ্গিয়া গঙ্গাগর্ভে গিয়াছে। এক্ষণেও জাহ্নবীজলে কেল্লাটার কোন কোন অংশ দেখিতে পাওয়া যায় । - নারা । পরপারে দেখা যাইতেছে—উহা কি ? W384 ८ैद-२२