পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्शब्नौ কাঞ্চী তৈলঙ্গ, দ্রাবিড় এবং নবদ্বীপ প্রভৃতি স্থান হইতে চৈতনধারী মহাত্মাদিগকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনিব । তাহারা অর্থের প্রলোভনে দীর্ঘ দীর্ঘ বচন সকল উদ্ধৃত করিয়া সমাজে লইবার ব্যবস্থা দিবেন। খানা কে না খায় ? কিন্তু কয়জনে জাতিচু্যত হইয়াছে ? তবে ঘনশ্যাম খৃষ্টান হওয়ায় ইংরাজী কাগজওয়ালারা প্রকাশ করিয়া দিয়াছে—ঐ যা একটা দোষ ।” বাবুটা চলিয়া যাইলে পিতামহ কহিলেন, "বরুণ, আজকাল মর্ত্যে জাতিবিচার বেশ ! গোপনে সবই চলিতেছে, প্রকাশ হইলেই যত গোল । কিন্তু তাহাও আবার পয়সা থাকিলে ঢাকিয়া যায়। য় ! তবে দেখিতেছি, জাতি বাক্সের মধ্যে ।” দেবতার গঙ্গার ধারে ধারে চলিলেন । ভাগীরথী তীরে অসংখ্য সুন্দর সুন্দর আটালিকা দেখিয়া দেবরাজ কত প্রশংসা করিতে লাগিলেন । বরুণ কছিলেন, “১৫৩৭ খৃঃ অব্দে পর্তুগীজেরা এই হুগলী নগর নির্মাণ করে । ১৬২৮ অন্ধে এখানে অনেক পর্তুগীজ বাস কবিত। তাহদের একটি স্বরক্ষিত কুটার ছিল । শাজাহান, দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করিবার পূর্বে, একবার হুগলীতে আসিয়া দেখিয়া যান যে, উহারা বলপূর্বক দেশীয়দিগকে খৃষ্টান করিয়া থাকে । এই নিমিত্ত তিনি অত্যন্ত কুপিত হইয়াছিলেন এবং এই ক্ৰোধ তাহার মনে জগন্ধক থাকায় সিংহাসন প্রাপ্ত হইয়া পর্তুগীজদিগকে দেশ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিবার আজ্ঞা দেন । তদনুসারে ১৬৩২ অব্দে হুগলী নগর মুসলমানের অবরোধ করিয়া প্রায় চারি সহস্র পর্তুগীজকে বন্দী করিয়াছিল ও এই ঘটনার পর পর্ব গজেরা আর কখনও বাঙ্গালায় প্রভাবশালী হয় নাই ; এই সময় হইতেই নগরটি মোগলদিগের হস্তগত হইয়া বাঙ্গালার মধ্যে প্রধান বাণিজ্যস্থান হইয়া উঠে ; তদবধি সপ্তগ্রামের অবনতি হইতে আরম্ভ হয় ।” ইন্দ্র । সপ্তগ্রাম কোথায় ? বরুণ। এই হুগলী নগরের কিঞ্চিৎ উত্তরে । পুরাণে ঐ সপ্তগ্রামের বা সাত গায়ের উল্লেখ আছে। সপ্তগ্রাম বাঙ্গালার মধ্যে একটি প্রধান বাণিজ্যস্থান ছিল । উহার প্রস্তরনিৰ্ম্মিত বৃহদাকার স্তম্ভগুলি দেখিতে বড় সুন্দর। ঐ স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণকার্য্যে প্রায় ২৫,০০০ টাকা ব্যয় হয় । তিন শত বৎসর পুৰ্ব্বে ঐ স্থানের নিম্ন দিয়া অনেক বাণিজ্যপোত যাতায়াত করিত। তখন উহার সৌন্দর্য্য ও ধূমধামের সীমা ছিল না। ঐ সপ্তগ্রামে একটি দুর্গ ছিল, উহার ধ্বংসাবশেষ \ጋ8ግ