পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন অদ্যপি গ্রাগুট্রাঙ্ক রোডের সন্নিকটে দেখিতে পাওয়া যায়। উহারও সন্নিকটে একটী পুরাতন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ বর্তমান আছে। পাণ্ডুয়ার গো-যুদ্ধে যে যে সমস্ত মুসলমান হত হয়, তাহদের অনেকের কবরও সপ্তগ্রামে আছে। উপ। বরুণ কাকা! তাহারা কি ভূত হইয়াছে ? বরুণ। ভূত হবে কেন ? উপ। তবে যে লোকে বলে “সাতগেয়ের কাছে মামৃদো বাজী ?” বরুণ। একশত বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ সপ্তগ্রামে ওলন্দাজদিগের একট বাগানবাটী ছিল । গ্রীষ্মকালে সেই বাগানে তাহারা ভোজনাস্তে বিশ্রামসুখ অনুভব করিত। ১৫৬৬ অব্দে যখন ঐ স্থান একটী বিখ্যাত বাণিজ্যস্থান হইল, তখন প্লিনিদিগের দ্বারা অনেক বাণিজ্যদ্রব্য আমদানী ও রপ্তানি হইত। সপ্তগ্রামের রোমকেরাও বাণিজ্য করিতে আসিত। তাহারা উহাকে গ্যাজেলরিজিয়া বলিয়া ডাকিত । বঙ্গদেশের রাজারা অধিকাংশ সময় ঐ নগরেই অতিবাহিত করিতেন । ইউরোপীয়েরা প্রথমে এদেশে আসিয়া চট্টগ্রাম ও সপ্তগ্রামের উল্লেখ করিয়াছেন। এক্ষণে সপ্তগ্রামের আর কিছুই নাই, কালের পরিবর্তনে সপ্তগ্রাম একটী সামান্য জঙ্গলপূর্ণ পল্লীগ্রামের আকার ধারণ করিয়াছে এবং শৃগাল কুকুর প্রভৃতির আবাসভূমি হইয়াছে। অদ্যাপি ঐস্থানে পুষ্করিণী ও কৃপাদি খনন করিবার সময় নৌকার মাস্তুল ও ভগ্ন তক্তা প্রভৃতি পাওয়া যায় । দেবগণ গল্প করিতে করিতে অপরাহ্লে চু চূড়ায় উপস্থিত হইলেন । তাহারা বারিকের নিকটে উপস্থিত হইলে উপ চীৎকার করিয়া কহিল “বরুণ-কণকা ! দেখা যাচ্চে—ওটা কি ?” \シリア