পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৩৮

দেবগণের মৰ্ত্তো আগমন মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে স্বদেশে প্রত্যাগমন করিয়া কিছু কাল জীবিত ছিলেন । ময়ূন্যের যতদূর স্বখভোগ করা সম্ভব, তাহা এই প্রাণকৃষ্ণ করিয়াছিলেন। আবার মনুষ্যের যতদুর দুঃখভোগ করা সম্ভব, তাহাও প্রাণকৃষ্ণের ভাগ্যে ঘটিয়াছিল। যে প্রাণকৃষ্ণ স্তখের দশায় পক্ষিরাজসদৃশ ঘোটক সংযুক্ত গাড়ী যুড়ি হাকাইতেন, সেই প্রাণকৃষ্ণ দুঃখের দশম লপ মন গাড়ী ভাড়া করিতে যাইলে গাড়োয়ানের অমানবদনে বলিয়াছিল—“বাপের জন্মে কি গাভী চেপেছ ?” যে প্রাণকৃষ্ণ রাস্তায় টাকা ছড়াইয়! হার উপর দিয়া ভ্রমণ করিতেন, সেই প্রাণকৃষ্ণ দুঃখের অবস্থায় এক পয়সার আফিং ক্রয় করিয়া মুলা দিতে না পারায় দোকানদার-গৃহিণী হাত হইতে আফিং কড়িয়া লইতেও ছাডে নাই । ব্ৰহ্মা । দেখ ভাই । মমৃষ্ঠের অবস্থা চির দিন কখনও এক ভাবে যায় না, বোধ হয় প্রাণকৃষ্ণ বে-চালে চলাতেই বে-চাল হইয়া পড়িয়াছিলেন । তার উপর প্রাণকৃষ্ণ অধৰ্ম্ম করে টাকা ক’রেছিলেন । যাহা হউক, অামার মানুষেরা প্রাণকৃষ্ণ হইতে অনেক উপদেশ পাটতে পারে । উপ। বরুণ কাক ! এ কলেজে এত মুসলমান কেন ? ইন্দ্র । সত্যি বরুণ ! এ কলেজে মুসলমান ছাত্র এত বেশী কেন ? বরুণ। ইমামবাড়ীর প্রাচীরে আমি যে মহম্মদ মহসীনের দানপত্র পাঠ করিয়াছি, তাহাতে লিখিত আছে—তাহার সম্পত্তির তত্ত্বাবধানের জন্য দুই জন করিয়া মাতয়ালি নিযুক্ত থাকিবে। ঐ লিখনীগুরুপ কাৰ্য্য চলিতেছিল ; তৎপরে, ১৮১৮ অবে বোড অব রেভিনিউ মাতয়ালিদিগের হস্ত হইতে কাৰ্য্য, ভার কড়িয়া লইয়া অপরের হস্তে অর্পণ করেন । মাতয়ালিরা এই কারণে বোডের নামে নালিশ করিলে জজের বিচারে বোডেরই জয়লাভ হইল । মাতয়লিরা গ্রিভিকাউন্সিলে আপীল করিলেন ; সেখানেও কোন ফল হইল নাই । এ মকদম ক্রমান্বয়ে সাত বৎসর চলিয়াছিল । ঐ সাত বৎসরের পর হিসাব করিয়া দেখা হইল, মহসীনের সম্পত্তির মূনাফার টাকা হইতে সমস্ত খরচ পত্র বাদ প্রায় সাত লক্ষ টাকা জমিয়াছে। বোড ঐ টাকা হইতে একটি মাদ্রাসা করিবার জন্য গবর্ণমেণ্টের নিকট প্রার্থনা করেন। এই বিষয়ের তর্ক বিতর্ক হইতে প্রায় তিন বৎসর অতীত হয় এবং সুদে আসলে আট লক্ষ কয়েক সহস্র টাকা জমে । অনেক বিবেচনার পর গবর্ণমেণ্ট একটী কলেজ স্থাপনের অনুমতি দেন । তদনুসারে ১৮৩৬ অকের ১লা আগষ্ট হুগলী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ৬,৫৯,৬৬৪ টাকা এই কলেজের ব্যয় জন্য দান স্থির হয় । তদ্ভিন্ন গবর্ণমেন্ট \gcm 。