পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চু চুড়া উক্ত মহম্মদ মহসীনের দানের টাকা হইতে একটা অতিথিশালা ও একটী চিকিৎসালয়ও করিয়া দিয়াছেন। এই সমস্ত টাকা মাতয়ালিদিগের ও তাজিয়ার বায়ের টাকা হইতে সংগৃহীত। গবর্ণমেণ্ট মহসীনের টাকায় আর একটা মহৎ কার্য সংসাধিত করিয়াছেন, অর্থাৎ কলেজে মুসলমান ছাত্রদিগের বেতন এক টীকাল বেশী লওয়া হইবে না ও প্রায় একশত আন্দাজ ছাত্রকে আহার দেওয়া ও উৎকৃষ্ট ছাত্রদিগকে বৃত্তি দেওয়া হইবে, এইরূপ ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন । এই সমস্ত কারণে এখানে মুসলমান ছাত্র বেশী । ব্ৰহ্মা । সাধু সাধু যতকাল হুগলী কলেজ থাকিবে, মহম্মদ মহসীনের নাম কেহ বিস্তুত হইবে না । বরুণ ! আমার হিন্দুসন্তানদিগের মধ্যে যদি কেহ নিঃসন্তান থাকেন, এইরূপ অক্ষয়কীর্তি স্থাপন করিতে যত্ন করেন না কেন ? বরুণ । তাহারা বলেন- সৎকৰ্ম্ম করা অপেক্ষ পিতৃপুরুষগণের নাম রক্ষার্থ পোস্থ্যপুত্র গ্রহণ করা উচিত এবং এই জন্য অনেকে মৃত্যুকালে একটা, একটার অভাবে তিনটা ও কখন সাতটা পোষ্যপুত্ৰ লইবার অনুমতি করিয়া যান । ইন্দ্র ! সে ছেলেরা করে কি ? বরুণ। যতদিন সে পিতা জীবিত থাকেন, তদিন তার মরণ কামনা করে—তার পর বয়স হইলেই মদ, গাজ{ ও বেশ্বায় বিষয় উড়ায় । সে মাতা গর্ভধারিণী নহেন, তবে তাহার স্বামীর বিষয় ; এই জন্য দুই চারি টাকা মাসহারা দিয়া চাকরাণীর মত খাটাইয়া লন । ভগ্নীরাও কিছু সহোদরা নহে, সুতরাং তাহদের ধাপের বাড়ী আসা ঘুচে যায়। ব্ৰহ্মা । বরুণ ! মহম্মদ মহসীন কে এবং কি উপায়েই বা তিনি অতুল ঐশ্বর্যোর উত্তরাধিকারী হন, তদ্বিষয় আমাকে বল । বরুণ ! আগা মতাহার নামক একজন ধনী মুসলমান এই হুগলী নগরে বাস করিতেন। তাহার স্ত্রীর সহিত তাদৃশ সম্ভাব না থাকায় মৃত্যুকালে সমস্ত বিষয় একমাত্র কন্যা মন্ত্র জান খানমকে অর্পণ করিয়া যান। স্বামীর এইরূপ আচরণে মতাহার-পত্নী অসন্তুষ্ট হইয়া হুগলীনিবাসী হাজি ফয়িজুল্লা নামক এক ব্যক্তিকে বিবাহ করেন । এই দম্পতী হইতেই ১৭৩২ খ্ৰীষ্টাব্দে মহম্মদ মহসীনের জন্ম হয়। মগ্ন,জান খানম মিরজা সাল উদ্দীন মহম্মদ নামক এক ব্যক্তিকে বিবাহ করেন । হুগলী নগরে মিরজা-সালের হাট নামক হাটট ইহারই স্থাপিত । মজান খানম কিছুদিন পরে বিধবা হইলে আর দ্বিতীয় বিবাহ করিলেন না। ইহঁর সন্তান সন্ততিও ছিল না ; মুতরাং সমস্ত বিষয় বৈপিতৃক ভ্রাতা মহম্মদ °C●\3