পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৪০

দেবগণের মর্ত্যে আগমন মহসীনকে দান করিলেন। মহম্মদ মহসীন বিবাহ-প্রথার নিত্যস্ত বিরোধী ছিলেন । তকালে ফকিরী অবস্থায় বাস করিয়া যাবতীয় অর্থ দান ধ্যানে ব্যয় করিতেন, এবং মৃত্যুকালেও ঐ উদ্দেশ্বে অর্পণ করিয়া গিয়াছেন। ১৮১২ অব্দের নভেম্বর মাসে ইনি কলেবর পরিত্যাগ করেন । নার । বরুণ ! কলেজের ওদিকের গৃহে একটা ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের নিকট একজন সাহেব দাড়াইয়া গল্প করিতেছেন। ঐ পণ্ডিতটী কে ? বরুণ । উহার নাম রামগতি ন্যায়রত্ন । উনি এই কলেজের সংস্কৃত শাস্ত্রের প্রধান অধ্যাপক । ব্ৰহ্মা । ইহার বিষয় আমাকে কিছু বল। বরুণ । ইনি ১৭৫৩ শকে পাণ্ডুয়ার সন্নিকটস্থ ইলছোবা নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতার নাম হলধর চূড়ামণি । প্রথমে উনি কোন অধ্যাপকের নিকট কিছুকাল ব্যাকরণ শিক্ষা করিয়া কলিকাতার সংস্কৃত কলেজে যাইয়া ভৰ্ত্তি হন । তথায় ব্যাকরণ, সাহিত্য, অলঙ্কার, জ্যোতিষ, স্মৃতি, সাংখ্য, ন্যায় ও যৎসামান্ত ইংরাজি শিক্ষা করিয়া ১৮৫৭ অব্দে বিদ্যালয় পরিত্যাগ করেন এবং মাসিক ৫০ টাকা বেতনে হুগলী নৰ্ম্মাল স্কুলের দ্বিতীয় শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হন । ইনি সংস্কৃত কলেজ হইতে ন্যায়রত্ন উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । ১৮৬২ অব্দে ইনি এক শত টাকা বেতনে বৰ্দ্ধমান গুরুষ্ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হন এবং ১৮৬৫ অব্দে ১৫০ টাকা বেতনে বহরমপুর কলেজের সংস্কৃত অধ্যাপকের পদ লাভ করেন, তৎপরে হুগলী কলেজের প্রধান অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত হইয়াছেন । ইনি অন্ধকূপ-হত্যার ইতিহাস ইংরাজী হইতে বঙ্গভাষায় অনুবাদ করিয়া প্রচার করেন। তদ্ভিন্ন ইহার প্রণীত অনেকগুলি পুস্তক আছে । যথা—বস্তুবিচার, বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ, রোমাবতী (উপন্যাস ), শিশুপাঠ, এবং বাঙ্গালা ব্যাকরণ, ঋজু-ব্যাখ্যা, দময়ন্তী, মার্কণ্ডেয় চওঁীর অনুবাদ, বাঙ্গলা সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব । এই শেষোক্ত গ্রন্থখানি ইহার প্রধান কীৰ্ত্তিস্বরূপ । এতদ্ভিন্ন ভারতবর্ষীয় ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও নীতিপথ নামক পুস্তক প্রচার করিয়াছেন । দেবগণ কলেজ হইতে বহির্গত হইয়া এক দিকে চলিলেন । যাইতে যাইতে একস্থানে উপস্থিত হইলে উপ কহিল, “বকুণ-কাক, ওটা কি ?” বরুণ । দেবরাজ ! সম্মুখে দেখ–ওলন্দাজদিগের গির্জা । ১৭৬৮ WS) (; 3