পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেব শূণের মত্ত্যে আগমন এখান হইতে কিছু দুরে যাইয়া দেবগণ দেখেন—একখানি ভাঙ্গা ঘরের মধ্যে ২০২৫ জন লোক বসিয়া আছে । ত{হাদের অষ্ট অঙ্গের শিরাগুলি দেখা যাইতেছে, প্রত্যেকের চক্ষু যেন ঠিক রাইয়া পড়িবার উদ্যোগ হইয়াছে । সকলেরই সম্মুখে এক একটা কলসীর কাণার উপর একটা ডাবা হুক । নলচের মাথার দিকৃ অৰ্দ্ধেক আন্দাজ কাটা । তদুপরি এক একটা ভাঙ্গ কন্ধের বাট । হু কায় এক একটী এক-হাত দেড়-হাত আন্দাজ নল লাগান । প্রত্যেকে ধুমপান করিতেছে ও এক একবার শোলা চুধিতেছে ; কখন কখন পরস্পরে সোহাগ করিয়া নলের মধ্য দিয়া উজান ফুৎকার পাড়িয়া পরস্পরকে গুলি মারিতেছে এবং সকলে নানারূপ গল্প করিতেছে । একজন কহিল, “একটা ঢোড়া সাপ বড় আফিং খেত । কিন্তু আফিং খাইলে দুগ্ধের প্রয়োজন । তজ্জন্য সে প্রত্যহ রজনীতে এক গো-শালায় প্রবেশ করিয়া দুগ্ধবতী গরুর পশ্চাৎভাগের পা দুইখানি নিজ ল্যাজের দ্বারা ছাদিয়া স্তন্যপান করিত। কিছুদিন পরে গরুটি মরিয়া যাইল। তখন দুগ্ধ অভাবে সাপট পেট ফেপে মারা যায় আর কি ! একদিন গৰ্ত্ত হইতে মুখ বাহির করিয়া চোয়। ঢেকুর তুলিতেছে, এমন সময় দেখে, এক গোয়ালিনী তাহার গর্তের নিকট আসিয়া দাড়াইল । গোয়ালিনী তখন অস্তঃস্বত্ব ছিল, এজন্য তাহার স্তনে বেশ দুগ্ধ ছিল । সাপট গোয়ালিনীকে দেখিয়া আস্তে আস্তে গৰ্ত্তের বাহির হইয়া ল্যাজ দিয়া তাহার পা ছাদিয়া ফেলিল ; এবং স্তনে মুখ দিয়া চকু চক শব্দে দুধ খাইতে লাগিল। গোয়ালিনী ভয়ে মূৰ্ছা গেল।” আর একজন কহিল, “গুয়োটার সাপ আফিং ছেড়ে গুলি খেতে শিখলে না কেন ? দেখ ভাই—সেদিন এইখান দিয়া একটা রাজা গিয়াছিল দেখেছিলে ? তার নাম সিং!” তৎপ্রবণে একজন কহিল, “ভাই ! সিং নাম হইল কেন ?" অপর ব্যক্তি কহিল, “ঐ রাজার বাল্যকালে দুটি সিং হয় । ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট সেই সিং দুইটি কাটিয়া লইয়া এসিয়াটিক মিউজিয়মে রাখিয়। দিয়া উহার নাম দিয়াছেন সিং ।” ব্ৰহ্ম । বরুণ, এর কারা ? বরুণ । গুলির আডডার গুলিখোর । এই সময় গুলিখোরের গান ধরিল-- গুলি ছাড়ি কেমনে, বিনা মরণে । সেয়াকুলের কাটা যেন জড়িয়ে ধ’রছে বসনে ॥ 'ుడి శ్రీ శి