পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দননগর একবার মনে করি তোড় জোড় ফেলে দিয়ে, ব'সে থাকি বোবা হয়ে, ( কিন্তু ) জাস্ব ভাজি স্বপনে । একজন কহিল, “হায়! হায় ! দেখ ভাই, সম্প্রতি চন্দননগরের এক তাতি তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ ক’রে নটে-শাকের তলায় গলায় দড়ি দিয়ে মরেছে।” আর একজন কহিল, ‘সত্যি নাকি ?” বক্তা কহিল, “আমি কি মিথ্যা কথা কহিতেছি । মাগী, মিন্সের সঙ্গে বিবাদ ক’রে যেমন জল আস্তে গিয়াছে, মিন্সে অমি নলি থেকে এক খাই তুতা নিয়ে শাকের ক্ষেতের কাছে ছুটে গিয়ে নিজের গলার সঙ্গে আর নটে গাছের সঙ্গে বেঁধে চুপ করে বসে আছে ” একজন কহিল, “কেউ ছাড়িয়ে দিলে না ?” বক্তা । তাতি-বোঁ জল নিয়ে এসে দেখে সৰ্ব্বনাশ ! স্বামী গলায় দড়ি দিয়ে জিভ, বাহির ক’রে বসে আছে। তখন মাগী তাড়াতাড়ি কাকের কলসী ফেলে মিন্সের পিঠে ক্যাৎ ক্যাৎ শব্দে লাথি মারিতে লাগিল। মিন্সে অনেকগুলো লাথি খেয়ে ব'ল্লে, “নাথিই মার, আর যাই কর, কৰ্ত্ত মরে গেছে।” একজন কহিল, “বেটী তাতি ফরাসী রাজ্য ব’লে বেঁচে গেলেন। ইংরাজ রাজ্য হ’লে বাছাকে শুরকি ভাঙ্গাতে । বাবা | আত্মহত্য করতে যাওয়া সহজ নয় ।” ব্ৰহ্মা। বরুণ ! তুমি বলে “ইহারা গুলির আড্ডার গুলিখোর " কিন্তু আমি ত কিছু বুঝতে পারিলাম না। বরুণ আঞ্জে, আপনার স্বই আফিং মর্ত্যে দুই মূৰ্ত্তিতে ব্যবহৃত হয়। এক মূৰ্ত্তি কাচা,—অপর মূৰ্ত্তি পাকা । কঁাচার নাম আফিং, পাকার নাম গুলি । সেইগুলি যাহারা খায়, তাহাদিগকে গুলিখোর কহে । ইন্দ্র । গুলিখেরদিগের সরঞ্জাম ত বেশ ! বরুণ। ঐ সমস্ত সরঞ্জামের আবার ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। ঐ যে কলসীর কণণার উপর ভাবা ছক আছে, ঐ স্থক এবং নলটির নাম তোড় জোড়, এবং ঐ ভাঙ্গা কন্ধের নাম মেরু । এই সময় একজন গুলিখোরকে ছিট অন্বেষণ করিতে দেখিয়া নারায়ণ কহিলেন, “লোকটা কি অমূল্য দ্রব্য হারাইয়াছে।” বরুণ। অমূল্য দ্রব্য অর্থাৎ চারি কড়া আন্দাজ মূল্যের একটি গুলি। গুলিখোরেরা সৰ্ব্বস্ব দিতে পারে ; কিন্তু প্ৰাণ ধরে একটি ছিটা কাহাকেও দিতে পারে না ।