পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন নারা । ছিটা তৈয়ার করে কেমন ক’রে ? বরুণ । পেয়ার পাত কুঁচি কুঁচি করিয়া কাটিয়া প্রথমে ভাঙ্গনা খোলায় ভাজিয়া লয়। তৎপরে একটি পাত্রে জল দিয়া আফিং গুলিয়া সেই জল অগ্নির উত্তাপে ফুটিলে ভাজ। পেয়ার-পাত ফেলিয়া দিয়া বেশ করিয়া নাড়িয়া মুড়কি-মাখা করে, তৎপরে নামাইয়া সেইগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে পাকাইয়া ছিটা প্রস্তুত করে । - উপ। রাজা-কাকা । রাজী-কাকা । একটা গুলিথোর গুলি টেনে আধখানা কলা মুখে দিয়ে কোৎ ক’রে গিলে ফেল্পে ! বরুণ । কলা উহাদের উপাদেয় চাট । গুলির ধূম পেটে প্রবেশ করিলে নেশা হয় ; কিন্তু কৰ্কশ দ্রব্য চিবাইতে হইলে ধুম বাহির হইয়া যাইবার সম্ভাবনা ! এজন্য গুলি টানিয়া কলা চট কাইয়া সেই কলা অতি সতর্কতার সহিত মুখে দিয়া গিলিতে পারিলে কলা-সহিত ধুম পেটের মধ্যে প্রবেশ করে। গুলিখোরেরা পাকা কলা এত ভালবাসে যে, ষ্টেশনে যদি কোন যাত্রী কলা লইয়া আসে, ঐ সামান্য দ্রব্য চাহিলেই পায়, কিন্তু তাহা না করিয়া চুরি করিবার চেষ্টা দেখে । চাটনীর অভাবে ইহারা সময়ে সময়ে শোলা জলে ভিজাইয়া চুষিয়া থাকে । গুলিথোরের অনেকগুলি চিহ্ন আছে। যথা— প্রায়ই চক্ষু বুজাইয়া থাকে,-নেশা ছুটিবার আশঙ্কায় সহজে চক্ষু মেলিয়া চাহিয়া দেখে না । গোলমালে বড় বিরক্ত হয়,—কেহ কথা কহিলে "আস্তে আস্তে” বলিয়া তাহাকে নিষেধ করে । যখন ইহারা চলিয়া যায়, পায়ের গোড়ালি উচু হইয়া থাকে। যে রাস্তায় সচরাচর যাতায়াত করে, তাহাতে একটি ঢেলা থাকিতে দেয় না,–পাছে হোচট লাগিয়া নেশা ছুটিয়া যায়। যে গৃহে শয়ন করিয়া থাকে, ঐ গৃহের কোন স্থানে ছাতা কিংব। বাগ টাঙ্গাইয়া রাখিতে দেয় না,–পাছে লাফিয়ে এসে ঘাড়ে পড়ে। দ্বন্ধে এত লোভ হয় যে, শিশু সন্তানকে রাত্রিতে খাওয়াইবার দুগ্ধ ঢাকা থাকিলে চুরি করিয়া খাইয়া থাকে। গুলিখেরি গুলি টানিয়া যে রাস্তা দিয়া বাটী আইসে, ঐ রাস্তার দুই পাশ্বের্ণ দড়। পাকাইবার ভঙ্গিতে যদি দুই জন দাড়াইয়া থাকা যায়, প্রাণাস্তে সোজা হইয়া আসিবে না,–পাছে দড়ি গলায় লাগিয়া মারা পড়ে, এই শঙ্কায় হেঁট হইয়া আইলে । ইহাদের নজর অতি ক্ষুদ্র হয়। গুলিখোরের মাতালকে বড় ভয় করে। মাতাল দেখিলে সে রাস্তায় প্রাণান্তেও অগ্রসর হয় না। এই চন্দননগরে গুলিখোরের সংখ্যা বড় বেশী । wo