পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন মধ্যে একজন দাড়াইয়। সূর্য্যের দিকে মুখ করিয়া চাহিয়া আছে এবং উহার মস্তকের উপর এক গাছি দড়ি ঝুলিতেছে ? বরুণ। উহা হাফ ফাসীর স্থান। লোকের অৰ্দ্ধ প্রাণদণ্ডের হুকুম হইলে এই স্থানে ঐরুপ সাজা দেওয়া হয় । ইন্দ্র । হাফ ফাসী কি ? বরুণ । অপরাধীকে সমস্ত দিন ঐ কাটগড়ার মধ্যে অতি সংকীর্ণ অবস্থায় দাড়াইয়া সূর্য্যের দিকে চক্ষু মেলিয়া চাহিয়া থাকিতে হয় । সূর্য যখন যে দিকে ফিরিবেন, দোষী ব্যক্তিকেও তখন সেই দিকে ফিরিতে হুইবে । এইরূপে সূৰ্য্য অন্ত যাইলে সে ব্যক্তিকেও ছাড়িয়া দেওয়া হইবে । এইরূপ দওকেই হাফ ফাসী বা অৰ্দ্ধপ্রাণদণ্ড কহে। এই চন্দননগরে অনেকগুলি থান আছে; প্রত্যেক থানাই এক একজন কোতোয়ালের অধীন। ঐ কোতোয়ালেরাই থানার হর্তা কর্তা বিধাতা। এখানে নয়ট রাত্রির পর কাহাকেও রাস্তায় বাহির হইতে দেওয়া হয় না। বিবাহদি উপলক্ষে কিংবা কোন উৎসবাদি উপলক্ষে রাত্রিতে বেড়াইবার পাশ করিয়া লইতে হয় । বিনা পাশে রাস্তায় বাহির হইলে তুড়ম ঠোকায়। দেবগণ এখান হইতে যাইয়া একটী বাসা স্থির করিলেন এবং চাব্লিজনে স্নান করিতে চলিলেন । উপ বাসায় থাকিয়া দ্রব্যাদি আগলাইতে লাগিল । তাহারা যাইতে যাইতে এক স্থানে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “পিতামহ । ফরাসীদিগের কেল্লার ধ্বংসাবশেষ দেখুন। এই কেল্লাট নদীর পশ্চিম দিকে অবস্থিত ।” সকলে স্নান আহ্নিক সারিয়া বাসায় আসিয়া রন্ধনের উদ্যোগ করিতেছেন, এমন সময় এক গুলিখোর ব্রাহ্মণ আসিয়া কহিল “বাবা ! যদি চাটি খেতে দেও তো খাই ।” পিতামহ স্বভাবতঃ অতিথি-সৎকার করিতে ভালবাসেন ; তিনি ব্রাহ্মণের কথায় সন্তুষ্ট হইয়া মহাসন্তোষ প্রকাশ করিতে লাগিলেন । ব্ৰাহ্মণ কহিল, “একটু তৈল দেন, স্নান করিয়া আসি।” নারায়ণ তৎপ্রবণে তাহার সম্মুখে তেলের বাট প্রদান করিলে ব্রাহ্মণ চক্ষু মুদ্রিত করিয়া কহিল “হাতে দেও বাবা * নারায়ণ তৎপ্রবণে তৈল প্রদান করিলে ব্রাহ্মণ তৈল মাখিয়া স্বান করিতে যাইল। " o নারা । বরুণ ! ব্রাহ্মণকে তৈল দিতে “হাতে দেও বাবা”—কহিল কেন ? " বরুণ। চক্ষু খুলিয়া তৈল মাখিলে পাছে নেশা ছুটিয়া যায়, এই জন্যই হস্তে তৈল চাহিয়াছে। శీరిఱకి