পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দননগর অাহরীয় দ্রব্যাদি প্রস্তুত হইল, কিন্তু ব্ৰাহ্মণ আর ফিরিল না । পিতামহ অতিথির জন্য অপেক্ষা করিয়া শেষে দেবগণের উপরোধে তাহার অন্ন ব্যঞ্জনাদি রাখিয়া আহারে বসিলেন । আহার সমাপ্ত হইলে কিঞ্চিৎ বিশ্রামের পর পুনরায় নগর ভ্রমণে বহির্গত হইলেন । এক স্থানে উপস্থিত হইয়া নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ । সম্মুখে এ স্বন্দর বাড়ীটি কাহার ?” বরুণ। কুবুজং সাহেব নামক একজন ইংরাজ জমীদারের। ইহার বিলক্ষণ সঙ্গতি আছে । - এখান হইতে সকলে নদীর তীরে যাইলে বরুণ কহিলেন, “পিতামহ ! সম্মুখে ইটালি-দেশীয় মিশনরিগণের চর্চ দেখুন।” চর্চ দেখিয়া সকলে নদীর ঘাটের প্রতি চাহিয়া দেখেন–র্তাহীদের গুলিখোর অতিথি বসিয়া আছে। ব্ৰহ্মা । বরুণ ! দেখ—চুপ ক’রে বসে আছে, এ পর্য্যস্ত জলে নামে নাই। বরুণ । গুলিখোরের জলকে বাঘের ন্যায় দেখে, তাই কিরূপে জলে নামিবে—বসিয়া ভাবিতেছে । এখান হইতে যাইয়া দেবগণ একটী কেল্লা দেখিলেন । কেল্লাটীতে সৰ্ব্বসমেত ৫০/৬০ জন সিপাই আছে । কেল্লা দেখিয়া বাসায় আসিয়া দেখেন তাহাদের গুলিখোর অতিথি বসিয়া আছে । তাহারা ব্রাহ্মণকে ভাত দিয়া বসিয়া গল্প করিতেছেন, এমন সময় ব্রাহ্মণ চীৎকার শব্দে কাদিয়া উঠিল। দেবগণ সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিলেন “কি হইয়াছে ?” ব্রাহ্মণ । এমন অতিথি-সৎকার না করিলেই নয় ? আমার কত কষ্টের বাদসাহি পেটটা বাবা কাচকলা খাইয়ে জন্মের মত খারাপ ক’রে দিলে। ব্ৰহ্মা । বরুণ ! বলে কি ? বরুণ । মাছের ঝোলে কাচকলা ছিল, কাচকলা থাইলে গুলিগোরদের অত্যন্ত পেট খারাপ হয় । ব্রাহ্মণ ভ্রম বশতঃ খাইয়া কঁাদিতেছে । ব্ৰহ্মা। উপ! ওঁর পাতে ঘি ঢেলে দে। বাবা খুব ঘি খাও, তোমার পেট সেরে যাবে। কাচকলায় যে পেট খারাপ করে, তা ত আমরা জানি না, জানলে মাছের ঝোলে কাচকলা দিতাম না । ব্রাহ্মণ । হাজার ঘি খাই—এ বাদসাহী পেট শীঘ্ৰ শোধ রাবে না। সন্ধ্যা হইলে গুলিখোর চলিয়া যাইল । দেবতারাও সন্ধ্যা অাহিক সারিয়া একটু একটু জলযোগ করিলেন। তৎপরে সকলে শয়ন করিয়া গল্প করিতে \9&&