পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন লাগিলেন । নারায়ণ কহিলেন, “মর্ত্যে আসিয়া আমি আছি ভাল । যতই নূতন নূতন স্থানে যাইয়া লোকের আচার ব্যবহার দেখিতেছি, ততই আমার নূতন নূতন স্থান দর্শন করিতে ইচ্ছা হইতেছে।” দেবরাজ কহিলেন, “বলিতে কি—আমিও এক প্রকার আছি ভাল । তবে, জয়ন্ত ছেলেমানুষ বলিয়া রাজকাৰ্যা কিরূপ চলিতেছে, না জানাতেই মনটা সময়ে সময়ে একটু চঞ্চল হয়।” পিতামহ কছিলেন,--“আমার বাড়ীতে যদি একটী সাত বৎসরেরও ছেলে থাকৃত, তোমরা আমাকে যতদিন মৰ্ত্তো রাখিতে থাকি তাম।” নান। কথায় দেবগণ রজনী অতিবাহিত করিলেন এবং প্রাতে উঠিয়া আবার মগর ভ্রমণে চলিলেন । বাসা হইতে কিছু দূরে যাইয়া দেখেন—এক স্থানে লোকে লোকারণ্য এক ব্যক্তি চীৎকার শব্দে কহিতেছে, “দোহাই ফবাসী গবর্ণমেণ্টের, দোহাই ফরাসী গবর্ণমেন্টের । প্রাণ যায়, রক্ষা কর ।” তাহার নিকটে এক যুবতী হেট-মুখে দাড়াইয়া আছে। যে ব্যক্তি চীৎকার করিতেছে, তাহাকে পথের লোকে জুতা, ঝাটা—যাহা সম্মুখে পাইতেছে, তদ্বারা প্রহার করিতেছে । দেবরাজ ছুটিয়া গিয়া একজনকে কহিলেন, “মহাশয় । ব্যাপারখানা কি ?” সে ব্যক্তি কহিল, “হয়েছে কি জানেন—যে ব্যক্তিকে সকলে প্রহার করিতেছে, উনি গুরু । যে বৃদ্ধ ঘন ঘন-প্রহার করিতেছেন, উনি শিষ্য। হেটমূখে দাড়াইয়া আছেন শিস্যকন্যা। গুরু কয়েক দিবস হইল শিষ্যবাড়ী আসিয়া ছিলেন । ইতিমধ্যে উনি শিষ্যের বিধবা কন্যাকে হাত করিয়া গত রজনীতে উহাকে সঙ্গে লইয়া এখানে পলাইয়া আসিয়াছেন । মনে মনে বিশ্বাস আছে, ইংরাজরাজ্যে পাপ করিয়া ফরাসী রাজ্যে আসিয়া নিস্কৃতি পাইব ।” ব্ৰহ্মা য়T ! শ্ৰীবিষ্ণু বরুণ, বলে কি হে ? গুরু-শিষ্যকন্যা, য়T ! দেবগণ চাহিয়া দেখেন–পিতামহ নিকটে নাই, দ্রুতপদে এক দিকে ছুটিয়া যাইতেছেন। তখন দেবগণও অগত্যা পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইয়া কহিলেন, “ঠাকুরদা ! কোথায় যান ?” ব্ৰহ্মা । ভাই ! যে রাজ্যে গুরু, শিস্যকন্যা হরণ করিয়া পলায়ে এসে নিষ্কৃতি পায়, সে রাজ্যে তিলাৰ্দ্ধও থাকিতে নাই। থাকিলে মহাপাপ ম্পর্শে ; অতএব আমি এই মূহূর্তেই চন্দননগর পরিত্যাগ করিলাম। “তবে চলুন" বলিয়া দেবগণও পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। তাহার এক স্থানে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “দেবরাজ ! ঐ যে স্ত্রীলোকটী ঘেস্থড়ে"দিগের নিকট বসিয়া হাশু পরিহাস করিতেছে, উহার অবস্থা—শুনিবার