পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চমদননগর উপযুক্ত। উহার পিত। কলিকাতার একজন সম্রাস্ত ও বিষয়ী লোক ছিলেন । তাহার পুত্রসস্তান না থাকায় মৃত্যুকালে সমস্ত বিষয় ছুই বিধবা কন্যাকে সমান অংশে বিভাগ করিয়া দিয়া যান । উহাদের দুই ভগ্নীরই চরিত্র বড় মন ছিল । তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ গৃহে থাকিয়া উপপতি করেন । ইনি বাটীর পুরাতন থানসামাকে লইয়া বাহির হইয়া যান এবং খানসামার বাটতে তাহার স্ত্রীর সপত্নীর ন্যায় বাস করিতে থাকেন। ক্রমে তথায় ইহার এক পুত্র ও দুই কন্যা হয় । থানসামা কৌশলক্রমে ঢাকা ও গহন গুলি লইয়া এক্ষণে বাট হইতে বিদায় করিয়া দিয়াছে । আপাততঃ ঘেস্থডে উপপতি করিয়া জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতেছে । ব্ৰহ্মা । আরে ছি ! ছি । ঐবিষ্ণু বরুণ, আমাকে কোথায় এনেছিল ? উপ । বঞ্চণ কাকা ! কি হইয়াছিল আর একবার বল না ? ka ষ্টেশনে যাইয়া সকলে দেখেন—টিকিট দিবার বিলম্ব আছে । তখন পিতামহ কহিলেন, “বরুণ ! চন্দননগরের অপরাপর বিষয় সংক্ষেপে বল ।” বরুণ। এই নগরটাতে অনূ্যন একলক্ষ চব্বিশ হাজার লোকের বাস । গবর্ণমেণ্টের বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকা । এই আয়, ভূমির কর দ্বারা হইয়া থাকে। এখানকার প্রজাদিগকে ভূমির কর ব্যতীত অপর কোন কর দিতে হয় না । কেবল কার্যক্ষম ব্যক্তিদিগকে মাসিক আট আনার হিসাবে কর দিতে হয় । ঐ কর দ্বারা প্রতি বৎসর চোঁদ পনর হাজার টাকা আদায় হইয়া থাকে এবং তাহতে মিউনিসিপ্যালিটীর কার্য্য নির্বাহ হয়। এখানকার জমির খাজনা অতি সামান্ত, শত বৎসর পূৰ্ব্বে যাহা ছিল, এক্ষণেও তাঁহাই আছে । জমির মধ্যে অনেক লাখরাজ । চন্দননগরে ফরাসীদিগের একজন গভর্ণর ভিন্ন একজন কালেক্টর ও একজন সবজজ আছেন । ইহঁদের বেতন অতি সামান্ত । রাস্তায় ঘাটে ফরাসী ভাষায় লিখিত সাইনবোড টাঙ্গান আছে । আদালতেও ফরাসীভাষা প্রচলিত । রজনীতে এখানকার রাস্তা কেরোলিন তৈলের লন্ঠনের দ্বারা আলোকিত করা হয়। এ নগরে মুসলমান প্রায় নাই। অধিবাসীরা সাধারণতঃ অলস ও আমোদপ্রিয় ৷ গুলির আডড বিস্তর আছে । এখানে শিক্ষিত ভদ্রলোকের সংখ্যাও বিস্তর । ১৭৪- অন্ধে এখানে প্রায় চারি হাজার ইষ্টকনিৰ্দ্ধিত গৃহ ছিল। সেই সময় কলিকাতায় কুটার মাত্র দেখা যাইত। ফরাসী গবর্ণর ডিউপ্লে ইহার যাহা কিছু উন্নতি করিয়াছিলেন ; তাহার পর আর কোন উন্নতি লক্ষিত হয় না। ঐ ডিউপ্লের ইচ্ছা ছিল যে তিনি ভারতে Woo