পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দননগর স্বন্দর পুরুষ, তাহাতে যৌবনকাল । বিশেষতঃ নানারূপ পরিচ্ছদ পরিধান করায় অারও সুন্দর দেখাইতেছিল । তাহার মস্তকে সোজা সি তি, হস্তে তিন চারিট অঙ্গুরীয় এবং বক্ষঃস্থলে চেন সহিত ঘড়ি শোভা পাইতেছে। বাবুট রেলিং ঠেস দিয়া অপর কামরার এক যুবতীর প্রতি চাহিয়া হাসিতেছিলেন । যুবতীর নিকটে তাহার স্বামী অকাতরে নিদ্রা যাইতেছিল। ইহারও বিষয়বৈভব এক সময় কম ছিল না ; কিন্তু এক্ষণে মদে ও বেখায় প্রায় সমস্তই গিয়াছে। বাবুট দেখিতে অতি কদাকার। স্ত্রী স্বাধীনতা ইনি বড় ভাল বাসেন, এজন্য স্ত্রীকে সঙ্গে লইয়া পশ্চিম ভ্রমণে গিয়াছিলেন । বাবু এক্ষণে অকাতরে নিদ্রা যাইতেছেন, তাহার স্ত্রী স্বাধীনতা-প্রভাবে অপর পুরুষের সহিত গল্প করিতেছেন । বাবু। আমি ভাই এইবার নামিব। স্ত্রী । আহা । বেশ দুজনে গল্প করিতে করিতে যাচ্ছিলাম । তুমি নেমে গেলে কি ক'রে থাকবে ? বাবু। যদি না থাকতে পার-আমার সঙ্গে চল না কেন ? স্ত্রী । তুমি যদি নিয়ে যাও, যাইতে প্রস্তুত আছি ; কিন্তু কি রকমে যাই ? বাবু এই কথা শুনিয়া অতি মৃদ্ধ স্বরে কি পরামর্শ দিলেন। উপ নিকটে বসিয়াছিল, কান পাতিয়া শুনিতে লাগিল । এদিকে ট্রেন আসিয়া ভদ্ৰেশ্বরে থামিল । পুনরায় যেমন ট্রেন ছাড়িবার উদযোগ করিতেছে—বাবু অমি স্ত্রীলোকটকে ইঙ্গিত করিয়া নামিয়া পড়িলেন । যুবতীও যেমন নামিতে যাইবে, অমনি উপ চীৎকার করিয়া কহিল “ও ঘুমান বাবু! উঠে দেখ– তোর বেী পালাচ্চে ।” বাবু “য়্যা য়া!” শব্দে যেমন উঠিলেন তাহার গৃহিণীও অমনি গাড়ী হইতে নামিয়া পড়িল । বাবু ক্ষিপ্ৰ হস্তে যেমন স্ত্রীর অঞ্চল ধরিলেন, নীচেকার বাবু ছুটিয়া আসিয়া সপাসপ শবে তাহার হস্তে অম্বি ছড়ির আঘাত করায় বাবু অঞ্চল ছাড়িয়া দিলেন। পাছে উপরের বাবু লাফাইয় পড়ে এই আশঙ্কায় নিম্নের বাবু গাড়ীর দ্বার চাপিয়া ধরিয়া কহিতে লাগিলেন, “রাস্কেল ! আমার স্ত্রীর অঞ্চল ধ’বুলি ষে ? জানিস তোর নামে আমি নালিশ করবো ? আরোহী বাবু চীৎকার করিয়া কহিল, “পুলিশম্যান । পুলিশম্যান ! আটক কর আমার বেী নিয়ে যায়।” স্ত্রী কহিল মর মিন্সে—তুই আমার স্বামী, না ইনি আমার স্বামী ? చీఫ్రో